ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

মরুভূমির খেজুরের চারা চাষ করে চমক দিয়েছেন রবিউল

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৮৩৭ বার


মরুভূমির খেজুরের চারা চাষ করে চমক দিয়েছেন রবিউল

মরুভূমিতেই চাষ হয় খেজুর বা খুরমার। আমাদের এদেশে এ ফলের চাষ অনেকের নিকট অবাস্তব। মরুভূমির উত্তপ্ত আবহাওয়ায় উৎপাদিত ফলের চারা দো-আঁশ মাটিতে উৎপাদন করে এ অবাস্তবকে বাস্তবে পরিণত করেছেন কৃষক হাজি মো. রবিউল হাসান ওরফে রাজু (৪২)।  তিনি সুলভ মূল্যে উত্তরাঞ্চলে চাষ ছড়িয়ে দিতে উন্নত জাতের সৌদি খেজুরের চারার নার্সারি গড়ে তুলেছেন। তিনি তার নার্সারিতে বিখ্যাত নামকরা জাতের সৌদি আরবের আজুয়া, মরিয়ম, আম্বর, সুক্কারি ও রয়েল মাদানী খেজুর বীজ থেকে উন্নত মানের চারা উৎপাদন শুরু করেছেন। 

 হাজি মো. রবিউল হাসান রাজু জানান,  ২০০৪ সালের মার্চ মাসে তিনি সৌদি আরবে পাড়ি জমান। তিনি সৌদি আরবের আব্হা অঞ্চলে অবস্থান করেন। সেখানে তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর অবস্থানকালেই খেজুর উৎপাদনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে হাতে-কলমে খেজুর চাষের কলাকৌশল রপ্ত করেন। সেখান থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে নিজের গ্রামে ফিরে আসেন। তখনও আমি জানতাম না যে, বাংলাদেশে খেজুর চাষ করা যায়।

পরে বাংলাদেশে খেজুর চাষের বিষয়টি জেনেছি এবং শাইখ সিরাজের টিভিতে প্রতিবেদন দেখে গাজীপুরের নজরুল ইসলাম বাদলের খেজুর বাগান স্ব-চক্ষে দেখে আসেন। বাড়িতে ফিরে এসে তিনি বাড়ি সংলগ্ন জমিতে আত্রাই নার্সারি নামে একটি চারা উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তুলেন। এই নার্সারিতেই উৎপাদিত হচ্ছে সৌদি আরবের বিখ্যাত জাতের খেজুরের চারা। তিনি নিজেই সৌদি আরব হতে বীজ এনে চারা উৎপাদন করছেন।

তিনি আরো জানান, বর্তমানে কিছু চারার বয়স দেড় থেকে দুই বছর। আবার কিছু চারার বয়স ছয় মাস পূর্ণ হয়েছে। দেড় ফুট উচ্চতার এসব চারা রোপনের উপযোগী হয়েছে। তার নার্সারিতে অন্তত ৫০০ খেজুরের চারা রয়েছে। তিনি নিজেই ২৫ শতাংশ জমিতে খেজুরের চারা লাগিয়েছেন। দিনাজপুর অঞ্চলে একমাত্র তার নার্সারিতেই এ চারা পাওয়া যাবে। তিনি প্রতিটি খেজুরের চারা ৩০০-৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন।

দিনাজপুর জেলা হর্টিকালচারের উপ-পরিচালক এজামুল হক জানান, পর্যাপ্ত রোদ, কম আর্দ্রতা, শুকনা, উষ্ণ আবহাওয়া এবং পানি নিস্কাশনের সুবিধাযুক্ত উঁচু জমি খেজুর চাষের জন্য উপযোগী। সরকারিভাবে আরব দেশ থেকে বিভিন্ন জাতের উন্নত খেজুর চারা আমদানি করে জেলার হর্টিকালচার সেন্টারে পরীক্ষামূলকভাবে লাগানো হয়েছে। মাটির গুণগত এবং আবহওয়ার দিক থেকে দিনাজপুর অঞ্চল খেজুর চাষের জন্য উপযোগী। আশা রাখি, এ অঞ্চলে খেজুর চাষ করলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে বলে জানান তিনি।
 


   আরও সংবাদ