ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৮১৯ বার
ব্রিধান-৪৮ ও বিধ্রান-৮২ জাতের নমুনা আউশ ধান কাটা শূরু হয়েছে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে। স্বল্প সময়ে ফলন ভাল পেয়ে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় চলতি মৌসুমে ১ হাজার ৫ হেক্টর জমিতে আউশ ধান আবাদের লক্ষ্য মাত্রা থাকলেও তা ছাড়িয়ে ৫ হেক্টর আরো বেশি আবাদ হয়েছে।
জানা যায়, প্রতি বিঘা জমিতে ২০ থেকে ২২ মন ধরে ফলন উৎপাদিত হয়েছে। খরছ কম ও দাম ভাল পাওয়ায় আউশ আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা। মাঠ পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা ও নিবিড় মনিটরিংয়ের ফলে দিন দিন আ্উশ আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
জানা যায়, মাত্র কিছু দিন আগে ইরি-বোর ধান কাটা শেষ হয়েছে। কৃষকরা অলস সময় পার না করে কৃষি অফিসের পরামর্শে জমি ফাঁকা না রেখে আউশ ধান আবাদ করেছিলেন। আউশ আবাদে প্রতি বিঘায় খরছ পড়ে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় ধান উৎপাদন ২০ থেকে ২২ মন দর। আবাদের ৯০ দিনের মধ্যেই এ ধান ঘরে তুলতে পারছেন কৃষকরা।
কৃষকরা আনন্দে ধান কেটে তাদের ঘরে তুলছেন। ভূগর্ভস্থ পানির অপচয় রোধ করে বৃষ্টির পানিকে কাজে লাগিয়ে আউশ আবাদ জনপ্রিয় হচ্ছে বলে এখন আউশ আবাদও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আউশ আবাদের ৯০ দিনে কাটা শেষ হয়। ফলে কৃষকরা তাদের জমিতে বছরে ৪ ফসল উৎপাদন করতে পারছে।
চাষীরা জানান, কৃষি অফিসের পরামর্শে এবার আবাদ করেছেন। আউশ ধান একটি লাভ জনক ফসল। একই জমিতে আউশ ধানসহ বছরে ৪ বার বিভিন্ন ফসল আবাদ করা যায়। আউশ ধান আবাদে খরছ কম ও উৎপাদন বেশি। এবার ধানের ফলন ও দাম ভাল থাকায় কৃষকরা খুশি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম জানান, ভৈরব উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় চলতি মৌসুমে আউশ ৪৮ ও আউশ -৮২ ব্রিধান জাতের ধান আবাদের লক্ষমাত্র ছিল ১ হাজার ৫ হেক্টর। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আর মাঠ পর্যায়ে কৃষি অফিষের সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষ ও কৃষকদের নিয়মিত পরামরর্শ দেওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আরো ৫ হেক্টর বেশি উৎপাদন হয়েছে। রোপা আউশ মৌসুমে আধুনিক উফশী জাতের সকল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকায় এই জাতের ধান আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা।