ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

বর্ষা মৌসুমেও ব্যাপকহারে চাষ হচ্ছে তরমুজ

বিনোদন ডেস্ক


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৫৩১ বার


বর্ষা মৌসুমেও ব্যাপকহারে চাষ হচ্ছে তরমুজ

দেশ সাধারণত জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত তরমুজ চাষের উপযোগী সময় হলেও ঠাকুরগাঁওয়ে আগস্ট মাসে চাষ করা হচ্ছে তরমুজ। মালচিং পদ্ধতি অবলম্বন করে চারা রোপনের মাত্র ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যে তরমুজ হারভেস্ট করা যায়। তাই বর্ষা মৌসুমে তরমুজ চাষ উপযোগি না হলেও মালচিং পদ্ধতিতে বিদেশী জাতের তরমুজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে সেখানকার চাষিদের।

দেখা যায়, চাষকৃত মাটিতে সার ও বিষ দিয়ে উঁচু ও লম্বা সারি করে মালচিং পলিথিন দিয়ে ঢেকে তৈরি করা হয়েছে তরমুজের বীজতলা। নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে পলিথিন ছিদ্র করে মাটির মধ্যে বপন করা হয় তরমুজের বীজ। সেই বীজ অঙ্কুরিত হয়ে চারা থেকে বড় হয়ে গাছে পরিণত হচ্ছে। আর গাছ গুলোর লতাপাতা বিস্তারের জন্য বাঁশ, সুতা ও তারের সমন্বয়ে তৈরি করা হচ্ছে মাচা। মূলত এ পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে- যাতে করে বৃষ্টির পানি গাছের গোড়ায় জমাট না বাধে ও পানিতে তরমুজ নষ্ট না হয়। এমন পদ্ধতি অবলম্বন করে জেলার পীরগঞ্জ, হরিপুরসহ বিভিন্ন উপজেলায় বিদেশী বিভিন্ন জাতের তরমুজ চাষ করছেন অনেকে। 

এতে যেমন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হবে ও তেমনি পুষ্টির চাহিদা পুরণে ভূমিকা রেখে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার আশা কৃষকদের। অসময় ও বর্তমানে বর্ষাকাল হলেও জেলায় এবার প্রায় ৩ হেক্টর জমিতে চাষ শুরু হয়েছে বিদেশী তরমুজ।

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাড়ি গ্রামের কৃষক ও উদ্যোক্তা মঞ্জুর আলম জানান, দীর্ঘ দুই বছর ধরে পরিকল্পনা করে এবার নিজ উদ্যোগে ও পাশের উপজেলার কৃষকদের দেখে উৎসাহিত হয়ে এবং ইউটিউব থেকে ধারণা নিয়ে তিন প্রজাতির তরমুজ চাষ শুরু করেন তারা। তিনি আরও বলেন, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তরমুজ চাষে প্রতিবিঘা জমিতে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। লাভ কত হবে জানিনা। তবে আশা করি প্রকৃতি সহায় থাকলে প্রতিবিঘা জমির তরমুজ ১ থেকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রয় করতে পারবো।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবীদ আবু হোসেন জানান, বিভিন্ন এলাকায় এটি নতুন ফসল হিসেবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ও বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সম্প্রসারিত হচ্ছে। আমরা কৃষি অধিদপ্তর থেকে তাদেরকে সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। সম্ভব হলে পরবর্তীতে আমাদের বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমি মনে করি, ঠাকুরগাঁও জেলার জন্য এটি উপযোগি ফসল ও লাভ জনক ফসল হিসেবে অর্জিত হবে এবং এটি দিন দিন সম্প্রসারিত হবে।


   আরও সংবাদ