বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৯০২ বার
টাঙ্গাইলে জেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৫৬ ভাগ বেশি জমিতে হয়েছে আউশের আবাদ। এই ধানের হারানো দিন ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে জেলার কৃষি বিভাগ। বন্যা না থাকায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলনও ভালো হয়েছে বলে দাবি করছেন কৃষকরা।
কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের নির্দেশনায় ও টাঙ্গাইল কৃষি বিভাগের উদ্যোগে আবারো আউশ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। আউশ ধান আবাদের জন্য কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। সেই হারানো আউশ ধানের সুদিন আবার ফিরে আসছে টাঙ্গাইলে।
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের সহায়তায় আধুনিক কলাকৌশল ব্যবহার করে সঠিক নিয়মে জমির পরিচর্যা করে আর বন্যা না থাকায় ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলনও ভালো হয়েছে। আউশ ধান নতুন করে আবাদ করে বাড়তি লাভবান হওয়ার আশায় খুশি কৃষকরা।
জেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে জেলায় আউশ ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯৫২ হেক্টর জমিতে। এর বিপরীতে আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৪৫২ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে শতকরা ২৫৬ ভাগ বেশি। এ মৌসুমে জেলায় প্রায় ৭ হাজার কৃষকের মধ্যে আউশ ধানের বীজ ও সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চারাবাড়ী এলাকার কৃষক আব্দুল করিম জানান, আমরা কয়েকজন মিলে এখানে ৪০০-৫০০ শতাংশ জমিতে আউশ ধান আবাদ করেছি। ধান খুব ভালো হয়েছে। পোকা মাকড় খুব কম আক্রমণ করছে। জমি পতিত না রেখে আউশ আবাদে যদি বিঘায় ১০-১৫ মণ ধান পাওয়া যায়, তবে তো সোনায় সোহাগা। এ কারণেই সামনের বছর আউশ আবাদ বেশি করে করবো।
টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) আরিফুর রহমান জানান, এবছর আমাদের জেলায় আউশ ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৫২ হেক্টর। তবে আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৪৫২ হেক্টর জমিতে। এপর্যন্ত প্রায় ৩৫ ভাগ জমির ধান কাটা হয়েছে। ৩ দশমিক ৮৭ মেট্রিক টন ধান প্রতি হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়েছে। চালের হিসাবে প্রতি হেক্টরে ২ দশমিক ৫৮ মেট্রিক টন। ফলন খুব ভালো হয়েছে বলে মনে করি আমি।