ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

বরিশাল বিভাগে বাড়ছে মাল্টার আবাদ

বিনোদন ডেস্ক


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৮৬৩ বার


বরিশাল বিভাগে বাড়ছে মাল্টার আবাদ

বরিশাল বিভাগে বিপুল সম্ভাবনাময় রসালো ফল মাল্টা’র আবাদ ক্রমশ বাড়ছে। গত কয়েক বছরে বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি ও পটুয়াখালীর বেশ কিছু এলাৃকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এ ফলের আবাদ ক্রমশ বাড়ছে। 

পারিবারিক পর্যায়ের বাইরে এখন বাণিজ্যিক ভাবেও বিভিন্ন স্থানে মাল্টা’র আবাদ হচ্ছে। তবে এ অঞ্চলে ভাল জাত ও মানের মাল্টা’র কলম বা চারা সরবরাহ এখনো সহজলভ্য নয়। অথচ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ইতোমধ্যে ‘বারি মাল্টা-১’ ও ‘বারি মাল্টা-২’ নামের দুটি উন্নতমানের মাল্টা’র জাত উদ্ভাবন করেছে। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন জানান, সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও ইতোমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলে অন্তত ৩ হাজার হেক্টরে মালটার আবাদ হয়েছে। চলতি মৌসুমেই বাণিজ্যিকভাবে এর বিপননও শুরু হয়েছে। বরিশালের মাল্টা এ এলাকা ছাড়িয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্নস্থানেও বাজারজাত হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ের কৃষিবিদদের মতে ভাল জাতের ও মানের গাছের চারা এবং কলমের সরবারহ নিশ্চিত করতে পারলে বরিশাল বিভাগে খুব দ্রুত এ ফলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে টেকসই বাজার গড়ে উঠবে।

তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে বরিশাল সদরের কয়েকটি এলাকা ছাড়াও উজিরপুর ও আগৈলঝাড়া এবং পিরোজপুরের নেছারাবাদ, নাজিরপুর সহ ঝালকাঠির সদর উপজেলার বিপুল সংখ্যক গ্রামে মাল্টা’র আবাদ হয়েছে। তবে এ ফলের ভাল মানের কলম কিছুটা দুস্প্রাপ্য হওয়ায় কোন-কোন এলাকায় এর উৎপাদন মানসম্মত হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে সফল কৃষক গুরুদাস ব্যানার্জী জানান, বরিশালে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের রহমতপুর হর্টিকালচার নার্সারি ভালজাত ও মানের চারা উত্তোলন ও বিক্রি করলেও প্রচারণার অভাবে তা বেশীরভাগ কৃষকেরই অজানা। চলতি বর্ষা মৌসুম শেষ হবার আগেই ঐ নার্সারিতে মাল্টা’র চারা বিক্রি শেষ হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

ভাল মানের চারা রোপন করলে বছরের মাথায় গাছে ফল আসবে। সঠিক বালাই ও সার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে পারলে প্রতিটি গাছে বছরে প্রায় দুই শতাধিক  মাল্টা ধরবে গাছে। 

বরিশালের বাজারে এখন দেশী মাল্টা সর্বনিম্ন ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা কৃষক পর্যায়ে পাইকাররা ৬০-৬৫ টাকা দরে কিনছেন। কৃষিবিদদের মতে সঠিক পরিচর্যা করলে প্রতিটি গাছ থেকে মৌসুমে ৪০ কেজি পর্যন্ত মাল্টা পাওয়া সম্ভব। এতে করে জমি তৈরী, চারা সংগ্রহ এবং সার ও বালাই ব্যবস্থাপনা সহ পরিচর্যার ব্যয় প্রথম ফলন থেকেই তুলে আনা সম্ভব।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. তাওফিকুল আলম বলেন, এ ফলের আবাদ সম্প্রসারণে যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি কৃষক পর্যায়ে এর অবাদ প্রযুক্তিসহ উন্নতমানের চারা পৌছে দিতে। আমরা চলতি বর্ষা মৌসুমে বিপুল সংখ্যক ‘বারি-১ মাল্টা’র চারা সরবরাহ করেছি। আগামীতে তা আরো বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি। তার মতে মাল্টা’র আবাদে বর্তমানের ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে আগামী ১০ বছরের মধ্যে এ ফল আমদানীর প্রয়োজন হবে না। বাসস


   আরও সংবাদ