ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

বন্যার পানির নিচে ২ হাজার হেক্টর রোপা আমন

বিনোদন ডেস্ক


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৮৯৫ বার


বন্যার পানির নিচে ২ হাজার হেক্টর রোপা আমন

অতি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় ২ হাজার হেক্টর আমন ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।

জানা গেছে, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এরই মধ্যে চরাঞ্চলের নাটুয়ারপাড়া, মনসুরনগর, চরগিরিশ, নিশ্চিন্তপুর, খাসরাজবাড়ী ও তেকানীসহ গান্ধাইল, শুভগাছা ও মাইজবাড়ি ইউনিয়নের কিছু অংশের রোপা আমনের ক্ষেতে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। এতে করে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। দ্রুত এই পানি নেমে না গেলে সমূহ ক্ষতির মুখে পড়বেন কৃষকেরা। গত কয়েক বছর বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এই কৃষকেরা এবার আশায় বুক বেঁধে ছিলেন। ইতোমধ্যে আমন ধানের রোপিত চারা অনেকটাই সবুজ হয়ে উঠেছিল।

কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাহে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলের ৬টি ইউনিয়নসহ গান্ধাইল ও মাইজবাড়ির আংশিক ফসলি জমিতে পানি ঢুকেছে। এতে প্রায় ২০ হাজার কৃষকের মোট ১৮শ ৭৭ হেক্টর রোপা আমনের ফসল নিমজ্জিত হয়েছে।

মনসুরনগর ইউনিয়নের কৃষক খোকা মিয়া  জানান, গতবারও বন্যার কারণে ভালো ফলন পাইনি। এবারও জমিতে পানি ঢুকেছে। আল্লাই জানে কি হবে।

কাজিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রেজাউল করিম জানান, দ্রুত এই পানি নেমে গেলে কৃষকের তেমন কোন ক্ষতি হবে না। যদি দীর্ঘকাল ব্যাপী পানি থাকে তবে এবারও ক্ষতির সম্মুখীন হবেন চরাঞ্চলের রোপা আমন চাষিরা।

কাজিপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা একেএম শাহা আলম মোল্লা জানান, চরাঞ্চলের বানভাসিদের জন্য ৬ মেট্রিকটন চাল ও প্রতি ইউনিয়নের জন্য ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে এগুলো বিতরণও শুরু হয়েছে।

কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান সিদ্দিকী  জানান, বানভাসিদের নিয়মিত খবর রাখছি। আমরা সার্বক্ষণিক তাদের পাশে আছি। ইতোমধ্যেই বানভাসি মানুষদের জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে ত্রাণ সহায়তা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।


   আরও সংবাদ