বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৮২৬ বার
নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের বিবদমান তিন গ্রুপের কাল সোমবারের (৬ সেপ্টেম্বর) জনসভা কেন্দ্র করে সংঘাত এড়াতে জেলাশহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জেলাশহরের সুধারাম মডেল থানাধীন নোয়াখালী পৌর এলাকার মাইজদী, দত্তেরহাট ও সোনাপুরে ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে।
রোববার (০৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, একই দিন তিন গ্রুপ কর্মসূচি ঘোষণা করায় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এরফলে জেলাশহরের মাইজদী, দত্তেরহাট ও সোনাপুর এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ, জনসমাগম, মিছিল, শোভাযাত্রাসহ যে কোনো রাজনৈতিক প্রচার নিষিদ্ধ থাকবে।
নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে বিবাদমান তিন গ্রুপ মাইজদীতে জনসভা আহ্বান করে। এই জনসভা ঘিরে কয়েকদিন ধরে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তিন গ্রুপই জনসভা সফল করার জন্য জোর প্রচারণা চালায়। প্রচারণা চালানোর সময় রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তিন গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, বিক্ষিপ্তভাবে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকায় বড় ধরনের সংঘাতে এড়ানো যায়।
গত কিছু দিন থেকে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রকাশ্যে বিভক্তি দেখা দেয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উল্যাহ খান সোহেল ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিহাব উদ্দিন শাহীনের অনুসারীরা আলাদাভাবে নিজেদের কর্মসূচি পালন করে আসছে। এক পর্যায়ে তিনটি গ্রুপের অনুসারী সোমবারের পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে সফল করতে রোববার বিকেল থেকে জেলাশহরে অবস্থান নেয়। তিন গ্রুপের অনুসারী নেতাকর্মীরা জেলাশহরে পথসভা, মিছিল করলে উত্তেজনা দেখা দেয়।
২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে প্রধান অতিথি ওবায়দুল কাদের সভাপতি পদে অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক পদে নোয়খালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর নাম ঘোষণা করেন। ঘোষিত কমিটির বিরুদ্ধে ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বিরুদ্ধচারণ করে লাগাতার বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন। কাদের মির্জার সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের পদ না পাওয়া নেতারা একত্রিত হলে উদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।