বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৮৭১ বার
দেশে নিত্যপণ্যের বাজার টালমাটাল অবস্থা। আর এরই মাঝে আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে আবারও ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি জনগনের সাথে মষ্করা ও তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া সরকারের কাছে জানতে চান আর কত বৃদ্ধি পাবে সয়াবিন তেলের মূ্ল্য ?
সোমবার (৬ সেম্টেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এ কথা বলেন।
তারা বলেন, ইতিমধ্যে সয়াবিন তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ। অতীতের মূল্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায় এই মুহুর্তে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ মূল্যে সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে। দেশের মানুষ বার বার এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও সরকারের কর্ণকুহুরে তা প্রবেশ করছে না। অন্যদিকে সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহন করলেও সয়াবিনের সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যর্থ হচ্ছে। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে সয়াবিনের এই সিন্ডিকেট সরকারের চাইতেও ক্ষমতাবান।
নেতৃদ্বয় বলেন, বার বার সয়াবিনের মূল্য বৃদ্ধিতে জনগনের কষ্ট হচ্ছে ফলে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে তাদের মাঝে। রবিবার আবারো ভোজ্যতেলের মূল্য বৃদ্ধি সরকারী সিদ্ধান্ত এই মুহুর্তে জনস্বার্থ বিরোধী ছাড়া আর কিছুই নয়। দেশবাসীর মনে আজ বিশ্বাস জন্মাচ্ছে যে, সরকার শুধু অসৎ-লুটেরা ব্যবসায়ী, সিন্ডিকেটের স্বার্থ রক্ষায় ব্যাস্ত। তাদের স্বার্থ রক্ষার ক্ষেত্রে জনগনের কষ্টের বিষয়ে সরকারের কোন কিছু আসে যায় না।
তারা সরকারের প্রতি অবিলম্বে ভোজ্যতেলের মূল্য নিয়ন্ত্রনকারী সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বর্তমান অবস্থায় বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর অবস্থানের কোন বিকল্প নাই। সীমিত আয়ে এভাবে নিত্যপন্যের মূল্যবৃদ্ধি হতে থাকলে জীবনধারণ আরও কঠিন হয়ে উঠবে। সরকারের উচিত কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করা। সরকারের সরকারের উচিত বাজারে তেলের সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষে এখনই বড় উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথায় দেরি হয়ে যাবে। সরকার সঠিক ও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহনে ব্যর্থ হলে কঠিন মূল্য দিতে হবে।