নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৯৪ বার
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ- বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত করোনাকালীন মহামারীর ক্ষতিগ্রস্ত খামারী মালিকদের মধ্যে করোনা প্রণোদনার টাকা বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে হরিনাকুন্ডু উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মসিউর রহমান ও ঐ ইউনিয়নে কর্মরত এলএসপিদের বিরুদ্ধে।
এঘটনায় এলাকার ভুক্তভোগী করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ গরু খামারীরা ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের নিকট প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করেছে। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে উপজেলার রঘুনাথ পুর গ্রামের পশু ডাক্তার এমদাদ হোসেন হরিনাকুন্ডু উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসে চাকুরীর সুবাদে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার সহযোগিতায় সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত ভাবে বেশ কয়েকজন অ-খামারী ও বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মচারীর নাম তালিকায় লিপিবন্ধ করেছেন। এমদাদ তার নিজ গোষ্ঠীর লোক এবং যাদের করোনা প্রণোদনার তালিকায় নাম পাঠিয়েছে তারা কখনো গরু পালনের সাথে জড়িত না।
অথচ করোনাকালীন মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত খামারী মালিকদের তালিকায় নাম বাদ রাখা হয়েছে। তালিকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারী মালিকদের নাম বাদ রাখার করনে গ্রামজুড়ে তোলপাড় ও বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছে। এঘটনায় হরিনাকুন্ডূ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মসিউর রহমানের ভুমিকা রহস্য জনক। তার নিকট উপজেলার তালিকা চাইলে অফিসে আসেন, কথা হবে বলে সাংবাদিকদের জানান। অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।
তার নাম্বারে ফোন করলে সে বলে আমি ছুটিতে আছি। তবে তালিকার বিষয়ে তিনি বিভিন্ন বাহানা দেখান। জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সুব্রত ব্যনার্জি জবলেন আমরা খুব অল্প সময় পেয়েছি যার কারনে ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার নিকট ক্ষতিগ্রস্ত খামারী মালিকদের তালিকা পাওয়া যাবে মর্মে তিনি সাংবাদিকদের জানান।