ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

ইতিহাসের শিক্ষকের কৃষিতে সৃষ্টি ইতিহাস

বিনোদন ডেস্ক


প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১২:৩২ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৮৪১ বার


ইতিহাসের শিক্ষকের কৃষিতে সৃষ্টি ইতিহাস

শিক্ষকতার পাশাপাশি শখের বশে বাসার পাশে পতিত জমিতে ড্রাগন, মাল্টা ও পেঁপের যৌথ বাগান করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী ঠাকুরগাঁও জেলার সদর গড়েয়া ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম।এছাড়াও বাগানের পাশাপাশি মসলা জাতীয়, আদা, রসুন ও হলুদ একই বাগানে চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন। 

জানা যায়, বাসার পাশে ফেলে রাখা জমিতে মাল্টা, পেঁপে ও ড্রাগন ফলের সারি সারি গাছ। ড্রাগন ফলের গাছের সাথে উর্বর মাটিতে মসলার চাহিদা পূরণে করেছেন আদা, রসুন ও হলুদ চাষ। সদর উপজেলার গড়েয়া বাজার এলাকায় চোখ জুড়ানো এমন ফলের বাগান দেখতে এলাকার মানুষ প্রতিদিন ভিড় করছেন।

শিক্ষক সাদেকুল তিন বছর আগে শখের বশে পরীক্ষামূলকভাবে অল্প কিছু জমিতে ড্রাগন ফলের বাগান শুরু করেন। বাগানে আশানুরুপ ফল হওয়ায় পরবর্তী সময়ে সেখানে মাল্টা গাছের চারা রোপণ করেন। এখন তিন বছরের মাথায় তার একই বাগানে মাল্টা, পেঁপে, নারিকেল, আদা, রসুন ও হলুদ চাষ করছেন। গত ২ বছর যাবৎ মাল্টার ফলন অনেক ভালো হওয়ায় বাজারে বিক্রয় করে লাভবান হয়েছেন তিনি।

সাদেকুল বলেন, পতিত জমি ফেলে না রেখে সহজেই ফল বাগান করে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্ররা এসব বাগান করে লাভবান হতে পারবে। ৬০ শতক জমিতে মাল্টা, পেঁপে ও ড্রাগন ফলের যৌথ বাগান করতে প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু গত দু’বছরে মাল্টা, ড্রাগন, আদা, পেঁপে বিক্রয় করে ইতিমধ্যে আমার কয়েক লাখ টাকা আয় হয়েছে। আগে শখের বসে এই আবাদ শুরু করেছিলাম। এখন শখ নেশায় পরিণত হয়েছে। আর এই নেশাকে পেশায় পরিণত করতে চাই কারণ আমার আর্থিক অবস্থা ও অবস্থান এই বাগান দিয়েই পরিবর্তন করা সম্ভব হচ্ছে।

ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন জানান, জেলায় এভাবে বাগান করে অনেকে লাভবান হচ্ছে। সাদেকুল অনেক স্বাবলম্বী ও অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছেন ফল বাগানে। তার সাথে এই বাগানের ফল জেলার পুষ্টির চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কৃষি অফিস থেকে সবসময় এসকল কৃষকে সহযোগিতা করা হচ্ছে এবং নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আর এই সাদেকুলের কাজ দেখে অনেক কৃষক উৎসাহিত হয়ে এই শখের বা ফল বাগানের প্রতি উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করছেন। 


   আরও সংবাদ