স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৫:৩২ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৩৯৭ বার
গত ৬ বছরে হারানো ও ছিনতাই হওয়া তিন হাজার মুঠোফোন উদ্ধারের রেকর্ড করেছেন। ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন ১৬ বার পুলিশ কমিশনার পুরস্কার। তিনি শুধু তার কর্মস্থলের আওতাধীন এলাকার মুঠোফোন উদ্ধার করেন না। দেশের বিভিন্ন স্থানে হারিয়ে যাওয়া মুঠোফোন উদ্ধারের জন্য তার দ্বারস্থ হন অনেকে। সাধ্যমতো চেষ্টা করে নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তাদের মুঠোফোন উদ্ধার করে দিয়েছেন। উদ্ধারের ক্ষেত্রে কোনটিতে তিনি দু’দিন থেকে শুরু করে দুই বছর পর্যন্ত সময় নিয়েছেন।
আবদুল কাদের বলেন, মুঠোফোন উদ্ধারের ক্ষেত্রে আমি দাম বা ব্যক্তির মূল্যায়ন করি না। যত কম দামের মুঠোফোন হোক বা গরিব রিকশাচালক বা শ্রমিকের হোক সমান গুরুত্ব দিয়ে উদ্ধার করি। কারণ মানুষের অনেক মূল্যবান জিনিস হারিয়ে গেলে সে ততটা কষ্ট পায় না যতটা কষ্ট পায় একটি মুঠোফোন হারিয়ে গেলে। কারণ মুঠোফোনে অনেক স্মৃতি, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে। যা হারিয়ে গেলে তার অনেক ক্ষতি ও কষ্ট হয়। জিডি করার পর মুঠোফোন উদ্ধার করে ভুক্তভোগীকে ফোন দিয়ে যখন বলি আপনি একটা জিডি করেছিলেন, আপনার ফোনটি উদ্ধার হয়েছে.... তখন তারা অনেকে বিশ্বাসই করতে চায় না। এ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার হারানো মুঠোফোন উদ্ধার করেছি। গত আড়াই বছরে শুধু গুলশান থানার জিডির বিপরীতেই ৬০০ মোবাইল উদ্ধার করে গ্রাহককে ফিরিয়ে দিয়েছি। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাঁচ শতাধিক অভিযোগ আসে। নিজ থানা ছাড়াও নানা স্থান থেকে হারানো মুঠোফোন খুঁজে পেতে ভুক্তভোগীরা আসেন গুলশান থানায়। অনেকে আমাকে ফোন দেয়। ব্যস্ততার কারণে ধরতে পারি না। কয়েক ঘণ্টা পরে নিজেই মুঠোফোন করে জানতে চাই সমস্যার কথা। সবারই একই সমস্যা ফোন হারিয়েছে। আমার কাছে যারাই ফোন দেয় তারা শুধু মুঠোফোন উদ্ধারের জন্য দেয়।
ডিএমপির গুলশান জোনের সহকারী পুলিশ সুপার নিউটন দাস জানান, এএসআই কাদের অসংখ্য হারানো বা ছিনতাই হওয়া মুঠোফোন উদ্ধার করে দিয়েছে। এ কাজে মানুষ উপকৃত হচ্ছে। সে শুধু তার কর্মস্থলের আওতাধীন এলাকার মোবাইল উদ্ধার করছে না। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ ফোন করে মুঠোফোন উদ্ধারের বিষয়ে তার সাহায্য নেয়।