বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৫:৪৩ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১০৫০ বার
ঘেরের আইলে উৎপাদিত শসার চেয়ে মৌসুম ছাড়া উৎপাদিত তরমুজ চাষ বেশি লাভজনক হওয়ায় শসা ছেড়ে এখন তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন খুলনার কৃষকরা।স্থানীয় কৃষি অফিস থেকেও তরমুজ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। ফলে গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় দশগুণ বেশি জমিতে তরমুজ উৎপাদন হচ্ছে।
খুলনার কৃষি অধিদপ্তরের সূত্র অনুযায়ী, খুলনার শষ্যভান্ডার হিসেবে ডুমুরিয়া উপজেলার ব্যাপক পরিচিতি থাকলেও শসা উৎপাদনে সব সময় এগিয়ে রয়েছে জেলার তেরখাদা উপজেলা। এখানকার শসা দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। কিন্তু দিনকে দিন দাম কমে যাওয়ায় কৃষকরা শষা উৎপাদনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। এ ছাড়া শসা উৎপাদনে বেশি পরিমাণে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। ফলে মাটির উর্বরা শক্তি কমে যায়। পানির ক্ষতি হওয়ায় মাছের উৎপাদনও কমে যায়।
তেরখাদা কৃষি অফিস সূত্র অনুযায়ী, গত বছর তেরখাদা উপজেলায় মাত্র দেড় একর জমিতে (ঘেরের ভেড়িতে) তরমুজ উৎপাদন হয়। ওই বছরই ভালো দাম পান কৃষকরা। ফলে এবার উপজেলার আজুগড়া, শ্রীপুর, কাটেঙ্গা, নেবুদিয়া, পারেরখালি এলাকায় তিন হেক্টর জমিতে মৌসুম ছাড়া তরমুজ উৎপাদন হচ্ছে।
তেরখাদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মৌসুম ছাড়া তরমুজ চাষ করে কৃষকরা ভালো ফলন পাচ্ছেন। যা শসার তুলনায় অনেক বেশি। এমনও হয়েছে যে, এক সপ্তাহ আগে যে শসা ১৫ থেকে ১৬ শত টাকা মণ বিক্রি হয়েছে, এক সপ্তাহ পরে গিয়ে সেই শসা ৩ শত টাকায় নেমে এসেছে। এতে কৃষক ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ফলে শসা ছেড়ে এবার কৃষকরা মৌসুম ছাড়া তরমুজ চাষে বেশি আগ্রহী হয়েছেন।