ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

নরসিংদীতে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন হচ্ছে সবজির চারা

বিনোদন ডেস্ক


প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৫:৫২ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬৬৪ বার


নরসিংদীতে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন হচ্ছে সবজির চারা

নরসিংদীতে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন হচ্ছে সবজির চারা। এ জেলার সবজির খ্যাতি দেশজুড়ে। সবচেয়ে বেশি সবজি হয় শিবপুর উপজেলায়। তবে ভালো ফলন চাইলে প্রথমে প্রয়োজন ভালো বীজতলা। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে উপজেলার বাঘাব ইউনিয়নের ৫/৬টি গ্রামে গড়ে উঠেছে সবজি চারা উৎপাদনের নার্সারি। সর্বমহলের কাছে বিশেষ পরিচিত হয়ে উঠেছে এখানকার চারা।

সব রকমের মৌসুমি ও আগাম সবজির চারার উৎপাদন করা হয় এখানে। উৎপাদনে নিয়োজিত রয়েছেন এই এলাকার প্রায় দুই থেকে তিন শতাধিক কৃষক। এসব চারার গুণগত মান ভালো হওয়ায় দেশের বিভিন্ন জেলার কৃষকদের মাঝেও রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। লাভজনক হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে উৎপাদনকারী কৃষকের সংখ্যাও।

কৃষকরা জানান, শিবপুর তথা নরসিংদীর স্থানীয় কৃষকরা একসময় মুন্সিগঞ্জ থেকে সবজির চারা কিনে চাষ করতেন। কিন্তু নিজেদের প্রয়োজনীয় চাহিদার কথা ভেবে আজ থেকে দীর্ঘ দুই যুগ আগে এ চারা উৎপাদন শুরু করেন এখানকার কৃষকরা। এরপর থেকে ধীরে ধীরে এলাকাটি চারা উৎপাদনের জন্য জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এখন প্রায় ৪০ বিঘার বেশি জমিতে এ চারা উৎপাদন করা হয়। বাজার মূল্যে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার উপরে। এই চারা বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন শুধু বাঘাব ইউনিয়নেরই দুই শতাধিকেরও বেশি কৃষক।


স্থানীয় কৃষকরা জানান, ভালো ফলন পেতে হলে ভালো জাতের চারা হওয়া চাই। আর ভালো ফলনের চারা মানেই শিবপুর উপজেলার বাঘাব ইউনিয়নের চারা। এই ইউনিয়নের কুন্দারপাড়া, গাংপাড়া, খড়কমারা, ব্রাহ্মন্দী, লামপুর, নাওহালা ও বংপুর এলাকার উৎপাদিত সবজির চারার রয়েছে সুনাম। এখানকার কৃষকরা বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মরিচ, লাউ, শসা, টমেটো, পেঁপে, মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া, শালগম, করলাসহ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরনের উচ্চ ফলনশীল সবজির চারা উৎপাদন করে থাকেন।

চলতি মৌসুমের আগস্ট থেকে ডিসেম্বরে প্রতিবছর এই সময় বদলে যায় এ এলাকার চিত্র। ভোরের আলো উঠার সঙ্গে সঙ্গেই মাঠে পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন কৃষকরা। আগস্ট মাসের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বর মাসজুড়ে চারা উৎপাদন ও বিক্রি চলে। পলিথিনে মোড়ানো শেড করে ৪ থেকে ৫ বার পর্যন্ত বীজ অঙ্কুরোদগমের মাধ্যমে চারা উৎপাদন করে বিক্রি করতে পারেন তারা।

বাঘাব ইউনিয়নের কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা জোসনা বেগম জানান, সবজির চারা উৎপাদন করা নার্সারি একটি লাভজনক ব্যবসা। তাই এ বাঘাবা ইউনিয়নেই ৫/৬টি গ্রামের প্রায় দুই-তিন শত কৃষক এ সবজির চারা উৎপাদন করেন। আমরা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে তাদের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে পরামর্শ দিয়ে থাকি।

শিবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিন সাদেক জানান, এ উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে প্রায় ৬ হেক্টর জমিতে সবজির চারা উৎপাদন করা হয়। চারা উৎপাদন করে নিজেদের জমিতে রোপণের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অন্যত্র বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে এখানকার কৃষকরা। তাই আমাদের কৃষি অফিস তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সবজির চারা উৎপাদন বাড়াতে প্রতি বছরই কৃষকদের দক্ষতা অর্জনে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।


   আরও সংবাদ