ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

বিকল্প আয়ের উৎস এখন শাপলা

বিনোদন ডেস্ক


প্রকাশ: ৫ অক্টোবর, ২০২১ ১৫:৩১ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৭৫৫ বার


বিকল্প আয়ের উৎস এখন শাপলা

বিল, ঝিল আর জলাভূমিতে এখন প্রাকৃতিকভাবে ফোটা শাপলার সমারোহ দেখা যাচ্ছে নদী বেষ্টিত মুন্সিগঞ্জে। বাজারে চাহিদা থাকায় নয়নজুড়ানো শাপলা তুলে বিক্রি এখন বিকল্প আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে শত শত কর্মহীন কৃষকের। প্রাকৃতিকভাবে হওয়ায় উৎপাদনে প্রয়োজন নেই পুঁজির। বিনা পুঁজিতেই শাপলা আহরণ ও বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান তারা। বিভিন্ন বয়সী মানুষ ঝুঁকছেন এ কাজে। 

জানা যায়, জেলার টঙ্গীবাড়ী, সিরাজদিখানের জলাভূমি ও শ্রীনগরের আড়িয়াল বিল থেকে প্রতিদিন শত শত নৌকায় শাপলা আহরণ চলছে। ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত চলে শাপলা তোলার কাজ। একেক জন প্রতিদিন ১০০-২০০ আটি পর্যন্ত শাপলা তুলে থাকেন। পাইকারি প্রতি আটি শাপলা বিক্রি করছেন ৩-৫ টাকা।

স্থানীয় বাজারে বিক্রির পাশাপাশি অধিকাংশ শাপলা বিক্রি হয় রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাজারে। দিনভর জলাভূমিতে থেকে আহরণের পর শাপলা রাখা হয় রাস্তার পাশে। বিকেলে ট্রাক-পিকআপ যোগে পাইকাররা এসব শাপলা নিয়ে যান ঢাকার বাজারগুলোয়। পাশের জেলা ও টাটকা থাকায় ঢাকার বাজারগুলোয় মুন্সিগঞ্জের শাপলার বেশ চাহিদা।

ফরিদ শেখ নামক একজন জানান, ‘উন্নাকালে জমিতে কাজ করি। এখন বর্ষার পানিতে জমিজমা সব তলাই গেছে। জমির কোনো কাজ নাই। তাই উপার্জন করতে শাপলা তুলি। ১০০-১৫০ আটি শাপলা তুলতে পারি প্রতিদিন। বিক্রি কইরা ৫০০-৭০০ টাকা আয় হয়। এই দিয়ে সংসার চলে যাচ্ছে।’

সনাতন মন্ডল জানান, ‘শ্রাবণ থেকে চলতি আশ্বিন মাস পর্যন্ত বিলে শাপলা ফোটে। কোনো পুঁজির দরকার হয় না। শাপলা তুলতে একটু পরিশ্রম হয় আর কি। সারাদিন শাপলা তুলে বিলের পাশে রাস্তায় রাখি। পরে বিকালে পাইকাররা ট্রাক দিয়ে নিয়া যায়। এখন ৩ টাকা দেয়। অবার চাহিদা বেশি থাকলে ৫ টাকাও দেয়। ট্রাকে উঠানোর পর আমাদের টাকা দিলে বাসায় চলে যাই। আর পরদিন সকালে আসি।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. খুরশীদ আলম জানান, ‘শাপলা চাষ করতে হয় না। প্রাকৃতিকভাবে মুন্সিগঞ্জে প্রচুর শাপলা হয়ে থাকে। পুষ্টির চাহিদা পূরণে উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে শাপলা। যেহেতু বাজারে খাদ্য হিসেবে চাহিদা আছে। তাই শাপলা তুলে বিক্রি করে কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে।’


   আরও সংবাদ