ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

পাঁচবিবিতে রাতের আধারে বিবাদমান সম্পত্তিতে প্রাচীর নির্মাণ

স্টাফ রিপোর্টার


প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর, ২০২১ ২২:৩৭ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫১৭ বার


পাঁচবিবিতে রাতের আধারে বিবাদমান সম্পত্তিতে প্রাচীর নির্মাণ

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আয়মা রসুলপুর ইউনিয়নের ছিটমানিক গ্রামে রাতের আধারে বিবাদমান সম্পত্তিতে প্রাচীর তৈরীর ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সংবাদ পেয়ে আজ সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ছিটমানিক গ্রামের বাসিন্দা মৃত- আব্দুর রহমানের পুত্র কড়িয়া ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ আনিছুর রহমানের কবলাকৃত সম্পত্তি জবর দখলের উদ্দেশ্যে (সিসি ক্যামেরার দৃশ্য দেখা যায়) ভোর রাত থেকে প্রতিপক্ষ মোস্তাকিমুলের পুত্র রাশেদুল ইসলাম তার বড় শ্যালক নওদা গ্রামের আরিফুল মিস্ত্রিকে নিয়ে ইট দিয়ে প্রাচীর তৈরীর কাজ করতে থাকে।
 সকালবেলা বিষয়টি সকলের নজরে আসলে তাদেরকে প্রতিবেশীরা নিষেধ করলেও সকলকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্ল করে কাজ চালিয়ে যেতে থাকে। এক পর্যায়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকির হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে ইটের গাথুনি দেওয়াতে নিষেধ করেন। এরপরেও নিষেধ উপেক্ষা করে কাজ চালিয়ে যায়। 
উল্লেখ্য এই বিবাদমান সম্পত্তির বিষয়ে রাশেদুল বাদী হয়ে গত ১৮ আগস্ট/২০২১ জয়পুরহাট বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারার আবেদন করে ১৫০পি/২০২১ (পাঁচ) নং মামলা দায়ের করে। মামলার ধার্য তারিখ আগামী ২৪/১১/২০২১ রয়েছে। থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নোটিশ দিয়ে উভয়পক্ষকে বিবাদমান সম্পত্তিতে  আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং কোন কারণে আইন শৃঙ্খলা অবনতি না ঘটানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। 
এসবের পরেও গত ২১ আগস্ট রাশেদুল দলবল ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রাতের আধারে ১ম দফায় টিন দিয়ে বিবাদমান সম্পত্তিতে বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করে। ১ম পর্যায়ে স্থানীয় বাসিন্ধাদের বাধার মুখে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয়। ২য় দফায় ২৭ সেপ্টেম্বর ইট দিয়ে দেওয়াল তৈরী করতে শুরু করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রাশেদুলকে থানায় নিয়ে গিয়ে আটক রাখে। 
পরে মুসলেকা দিয়ে ছাড়া পায়। সর্বশেষ সোমবার আবারও ভোর রাত থেকে রাশেদুল ইট দিয়ে দেওয়াল তৈরী করতে থাকে। রাশেদুলের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা এবং তার পক্ষ থেকে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর জন্য দফায় দফায় বিবাদমান সম্পত্তিতে কাজ করার বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্ধাসহ ইউপি সদস্য জাকির হোসেন প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং শাস্তি দাবি করেছেন। ঘটনার বিষয়ে রাশেদুলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেনি। ঘটনার বিষয়ে উপজেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ছায়েম উদ্দিনের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, কোন মিস্ত্রি রাতের অন্ধকারে ও বিবাদমান সম্পত্তিতে কোন কাজ করতে পারবে না, করলে দায়ভার তাহাকে বহন করতে হবে।
 


   আরও সংবাদ