ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

অর্থপাচার মামলায় সম্রাটসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল

বিনোদন ডেস্ক


প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর, ২০২১ ১৩:৫০ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫২১ বার


অর্থপাচার মামলায় সম্রাটসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল

ক্যাসিনোকাণ্ডে ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, বহিষ্কৃত কমিশনার মোমিনুল হক সাঈদসহ সাত জনের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বাকি চার জন হলেন—এনামুল হক আরমান, রাজীব হোসেন রানা, জামাল ভাটারা এবং শাজাহান বাবলু।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও মুজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ রোববার এ প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। পরে আদালত ২১ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।

এ বিষয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, বিদেশে কারা অর্থপাচার করছেন, তাঁদের বিষয়ে হাইকোর্ট একটি প্রতিবেদন চেয়েছিলেন। ওই আদেশ অনুযায়ী সিআইডি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

সিআইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাচার হওয়া বিপুল অর্থ উদ্ধারে কাজ করছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এ ছাড়া অর্থপাচারে সাত জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, দুবাই—এসব দেশে অর্থপাচার করেছেন। এ টাকার অঙ্ক অনেক বেশি। টাকাগুলো উদ্ধারের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সংশ্নিষ্ট দেশগুলোতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সব টাকা উদ্ধার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ গোপনে বিদেশে পাচার করা অর্থ অবিলম্বে ফেরত আনতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম খান ও আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস এ রিটটি করেন।

রিটে অর্থ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেল, বাণিজ্য সচিব, পররাস্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ ১৫ জনকে বিবাদী করা হয়।

এরপর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের উল্লিখিত বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে বাংলাদেশের কতজনের কত টাকা আছে, তার তালিকা দাখিল করতে বিবাদীদের নির্দেশ দেন। এ ছাড়া রুলে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে অর্থপাচারকারীদের নাম-ঠিকানা ও তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা-ও বিবাদীরে জানাতে বলা হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় সিআইডি আজ রোববার হাইকোর্টে অর্থপাচার সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি দাখিল করে।


   আরও সংবাদ