বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর, ২০২১ ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫২১ বার
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা না থাকায় বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে আর কোনো ভোটে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। কিন্তু স্থানীয় সরকারের নির্বাচন নিয়ে বিশেষ কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে দলটি। ভোট বর্জনের ঘোষণা দিলেও মাঠের চিত্র পুরো উল্টো।
ধানের শীষ ছাড়া ভোটের মাঠে ঠিকই সক্রিয় রয়েছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। প্রথম ধাপের মতো দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা। কেন্দ্র থেকেও এক রকম সবুজ সংকেত রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে সারা দেশে পাঁচ শতাধিক ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন বিএনপির প্রার্থীরা।
কোনো কোনো ইউপিতে বিএনপির একাধিক প্রার্থীও ভোটের মাঠে রয়েছেন। বিশেষ করে যেসব এলাকায় বিএনপির ভোটব্যাংক রয়েছে সেখানে তাদের তৎপরতা বেশি। এছাড়া যেখানে আওয়ামী লীগের শক্ত বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে সেখানেও জয় ছিনিয়ে আনার ব্যাপারে আশাবাদী বিএনপির প্রার্থীরা। যুগান্তরের জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, বিএনপি মাঠে থাকায় বেশির ভাগ ইউপিতেই ত্রিপক্ষীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের ৮৪৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে। এ ধাপে ৮১ জন চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে ৭৬৫ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে দলের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। একপক্ষ মনে করে, এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার কোনো মানে নেই। নির্বাচনে গিয়ে বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে বৈধতা দেওয়া হবে। তাছাড়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল নেতাকর্মীদের নামে নতুন করে মামলা, গ্রেফতার হয়রানিসহ নানা নির্যাতন নেমে আসবে।
এমন যুক্তি দেখিয়ে তারা সব ধরনের নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু দলের অপর একটি অংশ মনে করছেন, জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনে অংশ না নিলেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটের মাঠে থাকা উচিত। কারণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে একটা যোগসূত্র তৈরি হওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাই দলীয়ভাবে অংশ না নিলেও তৃণমূল চাইলে বাধা দেওয়া উচিত হবে না। তাদের এমন যুক্তির পক্ষে দলের হাইকমান্ডও একমত পোষণ করে।
ফলে ইউপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্র থেকেই সবুজ সংকেত দেওয়া হয়। এমনকি যাদের দলীয় পদ রয়েছে তাদের প্রয়োজনে পদত্যাগ করে নির্বাচন করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের এমন বার্তা পেয়ে সারা দেশে নেতাকর্মীরা ভোটের মাঠে সক্রিয় হন। প্রথম দফা ইউপি নির্বাচনেও অনেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। কেউ কেউ জয়লাভও করেছেন।
বর্জনের পরও ভোটের মাঠে থাকা প্রসঙ্গে বিএনপির দুজন নীতিনির্ধারক যুগান্তরকে বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ তৃণমূলের বেশির ভাগ নেতাকর্মী নির্বাচনের পক্ষে। স্থানীয় প্রভাব ও দলীয় অবস্থান ধরে রাখতে সবাই ভোটের মাঠে থাকতে চান। ভোটে জয়-পরাজয় যাই হোক এর মধ্য দিয়ে সবার সঙ্গে একটা সেতুবন্ধ তৈরি হয়। যা আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
ওই নেতারা আরও বলেন, ভোট বর্জনের আরেকটি কারণ হচ্ছে, আমরা তৃণমূল পর্যায়ে দলীয় প্রতীকে ভোট করার বিপক্ষে। নির্বাচন কমিশনেও আমরা বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছি। নানা হিসাব করেই আমরা দলীয় প্রতীকে ভোট থেকে সরে এলেও কৌশলে নির্বাচনে রয়েছি। এক্ষেত্রে তৃণমূলের মতকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ধানের শীষ ছাড়া স্বতস্ত্র ভোট করায় প্রশাসনও নেতাকর্মীদের ততটা হয়রানি করছে না। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন মামলাও নেই। সবকিছু বিবেচনা করেই স্বতন্ত্র হিসাবে বিএনপি ভোটের মাঠে রয়েছে।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় যুগান্তরকে বলেন, ভোট নিয়ে কথা না বলাই ভালো। এ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এদের অধীনে ভোটে যাওয়া না যাওয়া একই কথা। এই মুহূর্তে আমরা এসব ভোট নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। আমাদের লক্ষ্য সরকারের পতন। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।
তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে কেউ অংশ নিচ্ছে না। কোনো প্রার্থীর পক্ষে নেতারা প্রচারেও নামছে না। কেউ যদি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতে চায় আমরা তাদের বাধাও দেব না। সারা দেশে দলের লাখ লাখ সমর্থক রয়েছে। এখন কোনো সমর্থক যদি স্বতন্ত্র নির্বাচন করে আমরা কীভাবে তাকে বিরত রাখি। দলীয় পদ থাকলে হয়তো তার কাছে এর ব্যাখ্যা চাওয়া যায়। কিন্তু কোনো সমর্থকের কাছে তো ব্যাখ্যা চাওয়া সম্ভব নয়। এরপরও কেউ যদি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন করে বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না-এটা আমাদের দলের সিদ্ধান্ত। তারপরও দলের কেউ যদি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার। বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে এখন পর্যন্ত কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়নি। সুতরাং নির্বাচনে অংশ নিয়ে তো লাভ নেই। যতদিন পর্যন্ত সরকারের পরিবর্তন না হবে, ততদিন পর্যন্ত বিএনপি দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে যাবে না।
নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকার যুগান্তরকে বলেন, বিএনপি ইউপি নির্বাচনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। এজন্য তাদের দল থেকে ধানের শীষ প্রতীকের কোনো চেয়ারম্যান প্রার্থী নেই। তবে কেউ যদি ধানের শীষ প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেয় এতে তাদের দেখার কিছু নেই বলে উড়িয়ে দেন তিনি।
যুগান্তরের বিভিন্ন ব্যুরো ও জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনে দেখা যায়, দ্বিতীয় ধাপের বেশির ভাগ ইউনিয়নেই বিএনপি নেতারা মাঠে রয়েছেন। বরিশাল জেলায় ১২ ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে পাঁচটি ইউপিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি সাতটির মধ্যে তিনটি ইউনিয়নে বিএনপির তিনজন স্বতন্ত্রের মোড়ক লাগিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
সদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলহাজ নুরুল আমীনের ভাই বিএনপি সমর্থক আলহাজ মনিরুজ্জামান মনির স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। চরকাউয়ায় ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মামুন সরদার, চন্দ্রমোহনে সিরাজুল ইসলাম মাস্টার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে খুলনার চার উপজেলার ২৭টি ইউনিয়নে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ডুমুরিয়া উপজেলার শরাফপুর ইউনিয়নে বিএম আলমগীর হোসেন, সাহস ইউনিয়নে মোল্লা মাহবুবুর রহমান, ধামালিয়ায় জহুরুল হক, রঘুনাথপুরে আমিনুল ইসলাম, খর্ণিয়ায় শেখ দিদারুল হোসেন, আটলিয়ায় দৌলত হোসেন সরদার ও ভান্ডারপাড়া ইউনিয়নে জিয়াউর রহমান জীবন বিএনপির প্রার্থী হিসাবে মাঠে রয়েছেন।
তেরখাদা উপজেলার বারাসাত ইউনিয়নে বিএনপি নেতা মো. আল আমিন হোসেন, বটিয়াঘাটায় ইমরান মোল্লা, সুরখালী ইউনিয়নে বিএনপি নেতা শেখ হেমায়েত আলী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মাঠে আছেন। প্রথম ধাপের নির্বাচনে পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নে বিএনপি নেতা এসএম এনামুল হক ও কয়রা উপজেলার সদর ইউনিয়নে এসএম হুমায়ুন কবির নির্বাচন করে হেরে যায়।
কুমিল্লার ২২টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মেঘনা উপজেলার ২টি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র হয়ে বিএনপির দুই প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। উপজেলার লুটেরচর ইউপি থেকে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আ. অদুদ মুন্সি এবং মানিকারচর ইউপি থেকে আতাউর রহমান ভূঁইয়া নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
রাজশাহীর গোদাগাড়ীর ৯ ইউনিয়নে বিএনপির ৮ প্রার্থী মাঠে। তারা হচ্ছেন-গোদাগাড়ী সদর ইউনিয়নে তৌহিদুল ইসলাম, মোহনপুরে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা হোসেন, পাকড়িতে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনারুল ইসলাম, রিশিকুল ইউনিয়নে মোশাররফ হোসেন, গোগ্রামে হযরত আলী, বাসুদেবপুরে মাহফুজুর রহমান ডালিম, আষাড়িয়াদহে গোলাম মোস্তফা, দেওপাড়ায় নাসির উদ্দিন বাবু।
দ্বিতীয় ধাপে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ৭ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। তার হচ্ছেন-১নং বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে মো. রাশেদ আলী, ২নং তিরনই ইউনিয়নে মো. আলমগীর হোসেন, ৩নং তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে মো. শাহাদাত আলী, ৪নং শালবাহান ইউনিয়নে ফজলুর রহমান লিটন, মো. মতিয়ার রহমান, ৫নং বুড়াবুড়ি ইউনিয়নে মো. তারেক রহমান ও মো. রবিউল ইসলাম, ৬নং ভজনপুর ইউনিয়নে মোকছেদ আলী ও মো. মোসলেমউদ্দীন এবং ৭নং দেবনগর ইউনিয়নে মো. মহসিনুল হক। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ৮টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ৯ জন বিএনপি নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রাজশাহীর তানোরে ধানের শীষ ছাড়াই চেয়ারম্যান পদে বিএনপির ৮ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা ও আনারস প্রতীক নিয়ে মাঠে নেমেছেন। তারা হলেন-উপজেলার বাঁধাইড় ইউপিতে কামরুজ্জামান হেনা, পাঁচন্দর ইউপিতে মোমিনুল হক মমিন (চশমা), সরনজাই ইউপিতে মোজাম্মেলক হক (চশমা) ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি (আনারস), তালন্দ ইউপিতে চারদলীয় জোট সমর্থিত জামায়াত নেতা আক্কাছ আলী (চশমা), কামারগাঁ ইউপিতে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি দলিল লেখক খলিলুর রহমান খলিল (চশমা) ও যুবদল নেতা আলমগীর হোসেন (আনারস)।
এছাড়াও চাঁন্দুড়িয়া ইউপিতে থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিনের পুত্র যুবদল নেতা মাহফুজুর রহমান রিমন (আনারস)। নওগাঁয় ২০টি ইউপিতে ২৫ জন নেতাকর্মী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে আছেন। এর মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে বিএনপিপন্থি প্রার্থীর সংখ্যা ১৪ জন, রানীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ১১ জন।
শেরপুর সদর উপজেলার ধলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্যক্তিগতভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে শেরপুর সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক জাকির হোসেন চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন।
দ্বিতীয় ধাপে কক্সবাজার জেলায় ২১ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রামু উপজেলা ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে গর্জনিয়া ইউপিতে রামু উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মৌলা চৌধুরী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। উখিয়া উপজেলা ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৪টিতে বিএনপি সমর্থিত ৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। এ ছাড়াও কক্সবাজার সদরের ৫টি ইউনিয়নে দুটিতে তিনজন বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
কক্সবাজারে প্রথম ধাপে ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ৫টিতে অংশ নিয়ে ৩টিতে বিএনপির জয়লাভ। দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তিনটি ও রামগতির একটি ইউনিয়নের নির্বাচন ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে কমলনগরের চরকাদিরা ইউনিয়নে বিএনপিপন্থি স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসেন আহম্মদ হাওলাদার ও চরমার্টিন ইউনিয়নে জাহাঙ্গীর আলম মাঠে রয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে মৌলভীবাজার জেলার একমাত্র জুড়ী উপজেলার ৫ ইউনিয়ন পরিষদে সাধারণ নির্বাচন হবে। এর মধ্যে ৪ ইউনিয়নে বিএনপির একাধিক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করছেন।
মাগুরায় দ্বিতীয় ধাপে সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে ৩টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টিতে বিএনপি সমর্থিত ৫ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন করছেন। লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় দ্বিতীয় দফায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই উপজেলার মোট ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টিতে বিএনপি প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসাবে ভোট করছেন। তারা হলেন-দুর্গাপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান সালেকুজ্জামান প্রামাণিক, কমলাবাড়ীতে সাইফুল ইসলাম অপু, মাঈদুল ইসলাম, সারপুকুরে নাদিরুল ইসলাম মানিক, পলাশী ইউনিয়নে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবু হিয়া ইউনুছ।
দিনাজপুরের ২টি উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টিতে চেয়ারম্যান পদে ধানের শীষ ছাড়াই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপির ৬ জন নেতা। বোঁচাগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টিতে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়ছেন বিএনপির ৪ জন নেতা। হাকিমপুর উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ২টিতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপির ২ নেতা। কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টিতে নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী ১১ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে চারটি ইউনিয়নে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী মাঠে রয়েছেন।
গাজীপুরে এবার ৭টি ইউপিতে নির্বাচন হচ্ছে। বোয়ালী ইউনিয়ন নির্বাচনে সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের নেতা আ ন ম ইব্রাহিম খলিল এবং ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তরগাঁও ইউনিয়নে মো. খলিলুর রহমান খলিল, সিংহশ্রী ইউনিয়নে সাখাওয়াত হোসেন মানছুর, সনমানিয়া ইউনিয়নে সিরাজ উদ্দিন বিএসসি, আনোয়ার হোসেন টিটু ও ঘাগটিয়া ইউনিয়নে হারুনুর রশিদ মুন্সি।
দ্বিতীয় ধাপে পাবনার সুজানগর উপজেলার ১০ ইউনিয়নে নির্বাচন হচ্ছে। এই নির্বাচনে বিএনপি দলীয়ভাবে অংশ না নিলেও সুজানগর উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আব্দুর রউফ নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন।
দ্বিতীয় ধাপে আগামী ১১ নভেম্বর চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০টি ইউপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেও বাকিগুলোতে বিএনপির প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। দ্বিতীয় দফায় লক্ষ্মীপুরের রামগতির ১টি ও কমলনগরের ৩টি ইউনিয়নে নির্বাচন হবে। কমলনগরের চর লরেন্স ইউনিয়নে বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী। চর কাদিরা ইউনিয়নে মাঠে আছেন বিএনপিপন্থি হোসেন আহাম্মদ হাওলাদার ও চর মার্টিনে জাহাঙ্গীর আলম।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নে বিএনপির জাহাঙ্গীর আলম স্বতন্ত্রভাবে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। নাটোরের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বড়াইগ্রাম উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে বিএনপির কোনো স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী না থাকলেও নাটোর সদরের সাতটি ইউনিয়নের ছয়টিতেই দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির সাত নেতা।
এর মধ্যে তেবাড়িয়া ইউনিয়নে প্রার্থী হয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আকন্দ। বড় হরিশপুরে মাহতাব হোসেন, দিঘাপতিয়ায় সাইফুল ইসলাম, কাফুরিয়ায় আবুল কালাম আজাদ, হালসায় মাজেদ মন্ডল ও লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়ায় বিএনপি কর্মী কাবির হোসেন কাঙ্গাল।
দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে দ্বিতীয় ধাপে নেত্রকোনার ৩টি উপজেলায় ১২টি ইউনিয়নে বিএনপির ১৫ জন চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। এসব প্রার্থী ইউনিয়ন ও উপজেলা বিএনপির-অঙ্গ সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। জামালপুরে দ্বিতীয় ধাপে জেলার ৭টি উপজেলার মধ্যে শুধু জামালপুর সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে নির্বাচন হবে। এর মধ্যে দুটি ইউপিতে বিএনপির প্রার্থী রয়েছেন। যশোর চৌগাছা ও ঝিকরগাছা উপজেলায় বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী ১২ জন। ঝিকরগাছায় জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন ২ জন।
দ্বিতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিজ উপজেলা ফুলগাজীর ৬টি ইউনিয়নে বিএনপি দলীয় বা সমর্থিত কোনো প্রার্থী নেই। ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টিতে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনা ভোটে বিজয়ী হয়েছেন।
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে মোট ১৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ২টি ইউনিয়নে নির্বাচনে লড়ছেন বিএনপির ২ প্রার্থী। তারা হচ্ছেন আজমিরীগঞ্জ সদর ইউনিয়নে ইসমাইল মিয়া ও জলসুখা ইউনিয়নে এইচএম জামির। এ ছাড়াও শিবপাশা ইউনিয়নে জামায়াতপন্থি হিসাবে নির্বাচনে লড়ছেন একেএম মাহবুবুল আলম।
সিলেট জেলার ৩ উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলাগুলো হচ্ছে সিলেট সদর, কোম্পানীগঞ্জ ও বালাগঞ্জ। ৩ উপজেলায় বিএনপির ১২ জন ও জামায়াতের ২ জন স্বতন্ত্র পরিচয়ে নির্বাচন করছেন। সিলেট সদর উপজেলার ৪ ইউনিয়নে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন হচ্ছে। এতে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা স্বতন্ত্র পরিচয়ে নির্বাচন করছেন। বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হচ্ছেন হাটখলা ইউনিয়নে রফিকুল ইসলাম, জালালাবাদ ইউনিয়নে ইসলাম উদ্দিন ও মোগলগাঁও ইউনিয়নে ফজলু মিয়া। কান্দিগাঁও ইউনিয়নে প্রার্থী হয়েছেন জামায়াতের আব্দুল মনাফ।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৫ ইউনিয়নে নির্বাচন হচ্ছে। এর মধ্যে ৪টিতে চেয়ারম্যান পদে বিএনপি-জামায়াতের ৭ নেতাকর্মী স্বতন্ত্র পরিচয়ে নির্বাচন করছেন। ইসলামপুর পূর্ব ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি আলমগীর আলম চেয়ারম্যান পদের শক্তিশালী প্রার্থী। ইছাকলস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা বিএনপির কার্যকরী কমিটির সাবেক সদস্য মকবুল আলী, আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যোগ দিয়ে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতির দায়িত্ব পালনকারী আবু সাদ আব্দুল্লাহ ওরফে সাইস্তা মিয়া নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিএনপির এই দুই নেতার বাইরে জামায়াতের কাজি জসিমও নির্বাচন করছেন স্বতন্ত্র পরিচয়ে।
উত্তর রনিখাই ইউনিয়নে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিন ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। দক্ষিণ রনিখাই ইউনিয়নে বিএনপির কার্যকরী কমিটির সদস্য শামস উদ্দিন শাহীন ও সাবেক ছাত্রদল নেতা শাহাব উদ্দিন লড়ছেন। তেলিখাল ইউনিয়নে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির সুজন মিয়া। বালাগঞ্জ উপজেলার ৬ ইউনিয়নের মধ্যে বালাগঞ্জ ইউনিয়নে বিএনপির বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মুনিম, পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান ও দেওয়ান বাজার ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক বর্তমান চেয়ারম্যান নাজমুল আলম নির্বাচন করছেন।
জয়পুরহাটের বিভিন্ন ইউপিতে বিএনপির প্রার্থীরা মাঠে রয়েছেন। এরা হলেন আক্কেলপুর উপজেলায় তিলকপুর ইউনিয়নে মো. আজাহার আলী, মো. মোজাফফর হোসেন, মো. রেজাউল করিম, গোপীনাথপুরে হাবিবুর রহমান, রায়কালিতে তৌফিকুল ইসলাম, শাহিনুর রহমান (বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান), সোনামুখী ইউনিয়নে মো. সোলায়মান আলী সরদার, ক্ষেতলাল উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নে গাজিউর হক সাবলু ভোটের মাঠে রয়েছেন।
দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে টাঙ্গাইলের ৩ উপজেলার ২০ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে বিএনপির ৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোটের মাঠে আছেন। দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৭টি ইউনিয়নে বিএনপি নেতারা অংশ নিয়েছেন। এর হলেন-শ্রীনগর ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা মো. তাজুল ইসলাম, শ্যামসিদ্ধিতে রতন মিয়া, রাঢ়ীখালে মো. সোলায়মান খান, বাঘড়ায় মো. আলী, কুকুটিয়ায় মো. বাবুল হোসেন বাবু, বাড়ৈখালী ইউনিয়নে মো. হাফিজুর রহমান ও ষোলঘর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন।
চুয়াডাঙ্গার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে শুধু দামুড়হুদা জুড়ানপুর ইউনিয়নে রুহুল আমিন নামে বিএনপির এক নেতা চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জের ১২টি উপজেলার মধ্যে ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলায় ১৯টি ইউনিয়নে ভোট হবে। এর মধ্যে ছাতকের ১০ ইউনিয়নের মধ্যে ৬ ইউনিয়নে এবং দোয়ারাবাজার উপজেলার ৯ ইউনিয়নের মধ্যে ৭টিতে বিএনপিপন্থি প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে কোনো কোনো ইউনিয়নে বিএনপিপন্থি একাধিক প্রার্থীও রয়েছেন।
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ১১টি ইউপিতে বিএনপির স্বতন্ত্র ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সদর ইউনিয়নের বিএনপির ফজলুল হক, চারিগ্রাম সাজেদুল আলম, জামসা আবুল হাসেম খান, ধল্লা ইকবাল হোসেন শামীম।
ফরিদপুরে দ্বিতীয় ধাপের নগরকান্দা ও সালথা উপজেলার মোট (নগরকান্দা ৯+ সালথা ৮) ১৭টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে নগরকান্দায় চরযশোরদী ইউপিতে বিএনপির প্রার্থী রেজাউল আলম রিজু, কোদালিয়ায় রফিকুজ্জামান অনু, ফুলসূতিতে মনিরুজ্জামান মিয়া, তালমায় খায়রুজ্জামান। সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউপিতে বিএনপির প্রার্থী আবুল খায়ের, আটঘরে শাহিনুর রহমান ভোটের মাঠে রয়েছেন।
দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল ও হরিপুর উপজেলায় বিএনপি ও জামায়াতের একাধিক নেতাকর্মী চেয়ারম্যান পদে লড়াই করছেন। সরকারদলীয় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের পরাজিত করতে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছেন নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বিএনপি-জামায়াতের নেতা-সমর্থকরা। তবে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী একাধিক প্রার্থী নির্বাচনি মাঠে নামায় বিএনপির অবস্থান অনুকূল বলে স্থানীয় পর্যবেক্ষক মহল এই মন্তব্য করেছেন।
হরিপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে বিএনপির একাধিক নেতা-কর্মী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। প্রার্থীরা হলেন গেদুরা ইউনিয়নে জাহেরুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম ও ইমরান। আমগাঁওয়ে ইসমাইল হোসেন, বকুয়া ইউনিয়নে আবুল কাশেম বর্ষা, ডাঙ্গীপাড়া ইউপিতে হাসান মাস্টার ও উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, হরিপুর ইউনিয়নে রফিকুল ইসলাম ও আতাউর রহমান মংলা, ভাতুরিয়ায় মনোয়ার হোসেন, করিমুল ইসলাম চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে দ্বিতীয় ধাপে ৮টি ইউপিতে ৯ জন বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনি মাঠে রয়েছেন। যুগান্তর