বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর, ২০২১ ০৯:০০ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬৫৩ বার
ওরি-ব্র্যান্ডিংয়ের অংশ হিসেবে ফেসবুকের কর্পোরেট পরিবর্তন করে মেটা রাখা হয়েছে। ‘মেটা’ শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ থেকে, যার অর্থ ‘গণ্ডির বাইরে।
নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারকারীদের কোম্পানির অন্যান্য পরিষেবাগুলোর জন্য আর ফেসবুক ব্যবহার করা লাগবে না। নতুন নামটি সেই বিষয়টি সামনে আনছে।
জাকারবার্গ মূলত ‘মেটাভার্স’ নামে একটি অনলাইন দুনিয়া তৈরির পরিকল্পনা উন্মোচন করেছেন, যেখানে মানুষ ভার্চুয়াল পরিবেশে ভিআর হেডসেট ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজ করার পাশাপাশি, গেইম খেলা এবং যোগাযোগ করতে পারবে।
‘মেটাভার্স’র পরিসর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বাইরেও ভার্চুয়াল রিয়েলিটির (ভিআর) মতো ক্ষেত্রগুলোতে বাড়িয়েছে। ফলে এখন একটি জায়গায় সবকিছু আরও ভালভাবে ‘অন্তর্ভুক্ত’ করা যাবে।
এ ব্যাপারে জাকারবার্ক বলেন, আমরা যা কিছু করছি এবং ভবিষ্যতে করবো, সেটা বিদ্যমান ব্র্যান্ডটি সম্ভবত উপস্থাপন করতে পারছে না, তাই পরিবর্তন দরকার।
একজন বহিরাগতের কাছে, মেটাভার্স দেখতে ভিআর এর একটি সংস্করণের মতো হতে পারে, কিন্তু কিছু মানুষ বিশ্বাস করে যে এটি ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ হতে পারে।
সেখানে মানুষ কম্পিউটারে কাজ করার পরিবর্তে, মেটাভার্স নামের ভার্চুয়াল জগতে হেডসেটের সাহায্যের প্রবেশ করতে পারবে। যেখানে সব ধরণের ডিজিটাল পরিবেশের সাথে সংযোগ স্থাপন করা যাবে।
এই ভার্চুয়াল জগতটি কাজ, খেলা এবং কনসার্ট থেকে শুরু করে বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের জন্যও ব্যবহার করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
১ ডিসেম্বর থেকে নতুন স্টক টিকার এমভিআরএস এর অধীনে তাদের শেয়ার লেনদেন শুরু করতে চায় বলে জানিয়েছে ফেসবুক।
বৃহস্পতিবার ফেসবুকের বার্ষিক কনফারেন্সে ফেসবুকের নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছিলেন জাকারবার্গ।
বৃহস্পতিবার কোম্পানিটি ক্যালিফোর্নিয়ার মেনলো পার্কে তাদের সদর দফতরে একটি নতুন সাইনবোর্ড উন্মোচন করেছে। ওই সাইনবোর্ডে ফেসবুকের থাম্বস-আপ ‘লাইক’ লোগোটিকে সরিয়ে একটি নীল অসীম আকৃতির লোগো বসানো হয়েছে।
তবে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো স্বতন্ত্র প্ল্যাটফর্মগুলোর কোনো নাম পরিবর্তন হচ্ছে না। শুধু তাদের মালিকানাধীন প্যারেন্ট কোম্পানির নাম বদলাবে।
সম্প্রতি ফেসবুকের একজন কর্মচারী চাকরি ছাড়ার পর ওই কোম্পানি সম্পর্কে বিভিন্ন গোপন তথ্য ফাঁস করে। এরপর একের পর নেতিবাচক খবর প্রকাশ হতে থাকে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই নাম পরিবর্তন করলো ফেসবুক।
ফ্রান্সেস হাউগেন কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেছিলেন, তারা গ্রাহকদের ‘নিরাপত্তার চেয়ে কোম্পানির মুনাফাকে’ প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
২০১৫ সালে গুগল তাদের মূল কোম্পানির নাম বদলে অ্যালফাবেট রাখে। তবে এই নামটি সামনে আসেনি।