বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ৫ নভেম্বর, ২০২১ ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১০১০ বার
জেলার হাটে উঠতে শুরু করেছে আগাম জাতের আমন ধান। হাটগুলোতে বেড়েছে সরবরাহ। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব হাটে মণপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়েছে দর। ধানের বাড়তি দরে কৃষকরা খুশি। কুমিল্লায় ভোরের আলো ফুটতেই মাঠ থেকে কেটে তোলা ধান বিক্রির জন্য জেলার দোল্লাই নওয়াবপুর হাটে নিয়ে আসেন চাষিরা। এতে কেনাবেচাও হয়ে ওঠে জমজমাট। এবার মৌসুমের শুরুতেই ব্যবসায়ীরা বেশ চড়া দামে ধান সংগ্রহ করছেন এবং ভালো দর পেয়ে খুশি চাষিরাও।
কৃষকরা বলেছেন, এক হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি করেছি। ধানের ফলনও ভালো। এ রকম থাকলে, আমরা বেশ লাভবান হব। তবে যখন আমদানি বেশি হয়ে যায়, তখন ব্যবসায়ীরা দাম কমিয়ে দেন। এক্ষেত্রে সরকারের তদারকি দরকার, যেন দাম না কমে। বাজারে আগাম জাতের ধানের দর কিছুটা বাড়লেও আতপের দর কমতির দিকে। কুমিল্লার এ হাটে প্রতি মণ কাটারিভোগ ১ হাজার ৩২০ টাকা, মিনিকেট ১ হাজার ৩০০ টাকা, লম্বা জিরা ১ হাজার ৩২০ টাকা, গোল্ডেন আতপ ১ হাজার ৩৫০ টাকা, চিনি আতপ ১ হাজার ৬২০ টাকা এবং আগাম আমন ৯২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিল পর্যায়ে ধানের মজুত নিশ্চিত করতে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে তাদের। কংশনগর হেলাল অটোমেটিক রাইস মিলের মো. ফারুক আহমেদ বলেছেন, নতুন ধানের সরবারহ ধীরে ধীরে বাড়ছে। মোটামুটি দাম ভালো পাচ্ছেন কৃষকরা। আগামীতে দাম আরও বাড়বে। প্রাথমিক পর্যায়ে দাম বেশি উল্লেখ করে ধান ব্যবসায়ী তমিজ উদ্দিন বলেছেন, ১ হাজার ৩০০ টাকার ধান ১ হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে। ১০০ টাকা বেড়ে গেছে। তবে সার্বিক অনুপাতে দাম ভালোই রয়েছে। এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা সমস্যা কম থাকায় ধানের ভালো ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।
কুমিল্লা কৃষি সম্প্রাসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এবার আবহাওয়া ভালো ছিল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে এবার ফলন ভালো হয়েছে। কৃষকরা লাভবান হবে।