বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ৬ নভেম্বর, ২০২১ ২০:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৩১ বার
মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বাসচালক খোকন মিয়াকে (২৮) আটক করে পুলিশ। খবর পেয়ে স্বামীকে ছাড়াতে থানায় এসে তদবিরে ব্যস্ত রয়েছে খোকন মিয়ার দুই স্ত্রী।
শনিবার (০৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানা চত্তরে দেখা যায় খোকন মিয়ার দুই স্ত্রীকে।
খোকন মিয়ার প্রথম স্ত্রী'র বাড়ি গাজিপুরের কালিয়াকৈর এলাকার দেওয়াইর বাজার এলাকায়। ২০১৪ সালে ইসলামী শরিয়তের বিধানমতে খোকন মিয়ার সঙ্গে বিবাহ হয় তার। এরপর তাদের ঘরে আসে দুই সন্তান। প্রথম সন্তান মেয়ের বয়স ৮ বছর এবং ২য় সন্তান ছেলের বয়স ২ বছর।
আর দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়ি খোকন মিয়ার নিজ এলাকায়। প্রথম স্ত্রীর বিষয় গোপন রেখে ২য় বিয়ে করেন খোকন। পরে জানাজানি হলে সংসারে বিচ্ছেদ হয় তাদের। ২০১৪ সালের শেষ দিকে বিয়ে হয় তাদের। এই ঘরেও রয়েছে এক কন্যা সন্তান। যার বয়স মাত্র ৮ মাস।
থানা চত্তরে আলাপ হলে খোকনের বড় বউ বলেন, স্বামীর বিষয়ে জানতে পেরে থানায় এসেছেন তিনি। পারিবারিক অভাব অনটনে কোন রকমে দিন যায় তাদের। স্বামী একদিন কাজ করলে দুই দিন বসে খায়। এরপর আবার এই দুর্ঘটনা। এখন সন্তান নিয়ে না খেয়ে মরা ছাড়া গতি নেই। তাই থানায় অফিসারদের হাত-পা ধরে স্বামীকে ছাড়াতে এসেছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আর খোকন মিয়ার দ্বিতীয় বউ বলেন, বিয়ের সময় প্রথম বউয়ের বিষয়ে জানতেন না তিনি। বিয়ের পরপরই বিষয়টি জানতে পারেন। এরপরও স্বামীকে নিয়ে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখেন। অভাবের দায়ে নিজে একটি টেক্সটাইল মিলে চাকরি করেন। আলাদা বাসায় থাকলেও মাঝে মাঝেই তার বাসায় যেতেন স্বামী। তার ঘরেও রয়েছে এক কন্যা সন্তান।
স্বামীর বিষয়ে থানা পুলিশে তদবিরের বিষয়ে তিনি বলেন, স্বামী একটা ভুল করে ফেলেছে। তাই সকলের নিকট স্বামীর পক্ষ থেকে তিনি ক্ষমা চাচ্ছেন। তবে এ বিষয়ে কিছুই করার নেই বলে জানাচ্ছে থানা পুলিশ।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সাটুরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে খোকনকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে কলেজছাত্রী। আটক খোকনের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।