বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর, ২০২১ ২২:০২ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬৪১ বার
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের পাইকাল গ্রামে নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিতে একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার(২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের পাইকাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানায়, আগামী ২৮ নভেম্বরের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের পাইকাল গ্রামে নির্বাচনী প্রচারণায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের একপক্ষ অপরপক্ষের উপর হামলা চালায়।
এতে পাইকাল গ্রামের আক্কেল মেম্বারের ছেলে তোতা শেখ (৪০) গুলিবিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর হাসপাতালে নিয়ে আসলে তোতা শেখ সেখানে মারা যান। এতে আহত অপর দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নিহতের ভাই রফিক শেখ জানান, আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগের সমর্থক। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছিলাম। হঠাৎই আমাদের গ্রামের দপ্তিয়র ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুদ্দীন আমাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে কাজ না করার অভিযোগ আনে।
এ বিষয় নিয়ে শুক্রবার বিকালে আমাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। পরে সন্ধ্যায় সাইফুদ্দীন, সুমন, খাজা ও জাহাঙ্গীরসহ অন্যান্যরা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। এই হামলায় আমরা হতবিহ্বল হয়ে পড়ি। এ সময় আমার পায়ে গুলি লাগে।
পাইকাল গ্রামের বাচ্চু মন্ডল, সুমন, কবীর ও আমার ভাই তোতা শেখ গুরুতর আহত হয়। পরে লোকজন আমাদের উদ্ধার করে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর হাসপাতালে নিয়ে আসলে আমার ভাই তোতা শেখ মারা যায়।
এ বিষয়ে নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমি নিজেও সেখানে যাচ্ছি গিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারব।
এদিকে গত বুধবার (১৭ নভেম্বর) টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কাচঁপাই বাজারে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুর রহমান শাকিলের ৬ জন কর্মী সমর্থক আহত হয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
উল্লেখ্য, তৃতীয় ধাপে আগামী (২৮ নভেম্বর) টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।