বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৬:৫২ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬৯৫ বার
মিমের বাবা রবিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, গত ১৭ মাস ধরে এই বাবর আলীর বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছি। ১৯৮৮ সাল থেকে এই রোডের আশপাশে বিভিন্নস্থানে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছি। গত ৩২ বছর ধরে পরিবার নিয়ে রয়েছি এখানে। মেয়ের জন্ম খুলনাতে। এখানে আমার নিজস্ব কোনো জমি নেই। এ ছাড়া আমার গ্রামের বাড়িতেও আমার নামে কোনো জমি নেই। পৈত্তিক বাড়ি বাগেরহাট জেলার চিতলমারি থানার বড়বাড়িয়া গ্রামে। বাবা আব্দুল লতিফ শেখ এখনো জীবিত আছেন। ভিটেবাড়ির জমিটুকুও আমার বাবার নামে রয়েছে। আমার নামে জমি নেই। এখন ভূমিহীন বলে আমার মেয়ের চাকরিটা হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘মেয়ের পুলিশে কন্সটেবল পদে চাকরির জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য এসেছিলেন। তাদের আমি সব ঘটনা খুলে বলেছি। তারপর তারা বলে গেলেন, চাচা স্থায়ী ঠিকানা, জমি না থাকলে আপনার মেয়ের চাকরিটা সম্ভবত হবে না।’
খুলনা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর আহম্মেদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘মেয়েটা সবদিক দিয়েই পারফেক্ট। মেধা তালিকায় প্রথম হয়েছে। তবুও পুলিশের রুলসের কারণে আমরা তাকে নিতে পারছি না। ঘটনাটি বরিশাল জেলার আছপিয়ার ঘটনার মতোই। আমরা তাকে নিতে চাই তবে নিয়মের কারণে আটকে গেছি। তাকে নিয়োগ হতে হলে জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। জন্ম এখানে হলে বা জন্ম সনদ এখানে থাকলেই হবে না। তার স্থায়ী ঠিকানা লাগবে। সেটি মিমের হচ্ছে না। বাগেরহাটে তার চাচা, বাবা ও মামাদের কিছুটা জমি রয়েছে। সে যদি বাগেরহাট জেলা থেকে আবেদন করতো তবে সেটি ঠিক ছিল।’
খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরাতো ভালো প্রার্থীকে চাই। চান্স পাওয়ার ৭-৮টি ধাপ রয়েছে। এসব ধাপে যেকোনো মুহূর্তে যে কেউ ডিসচার্জ হয়ে যায়। ট্রেনিংয়ে যাওয়া পর্যন্ত যেকোনো মুহূর্তে যে কেউ বাদ পড়তে পারে। এখন চান্স পাওয়াটা আপেক্ষিক বিষয়। প্রার্থী (মীম) স্থায়ী ঠিকানা দিয়েছে খুলনার। কিন্তু আমরা দেখলাম সেখানে তার কোনো ঠিকানা নেই। সেক্ষেত্রে সে তথ্য গোপন করেছে। আমরা যেটা পেয়েছি, সেটা হচ্ছে তার বাগেরহাটের ঠিকানা। তাহলে কেন সে বাগেরহাট থেকে আবেদন করেনি।