ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ১১:৪০ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫২৯ বার
শীতের প্রারম্ভ থেকেই চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় বঙ্গোপসাগরের উপকূলে শুরু হয়েছে অতিথি পাখির আনাগোনা| সাগরের স্নিগ্ধ বাতাসে ঢেউয়ের তালে তালে পাখিদের উড়ে বেড়ানোর দৃশ্য নজর কাড়ছে পর্যটকদের| ফলে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত এবং আশপাশের উপজেলা, শহর থেকে অতিথি পাখি দেখতে ছুটে আসছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা|
সরেজমিনে বঙ্গোপসাগরের উপকূল ঘুরে দেখা যায়, বালিহাঁস, পাতিহাঁস, লেজহাঁস, পেরিহাঁস, চমাহাঁস, গাং কবুতর, বনহুর, জলপিপি, রাজসরালি, লালবুবা, পানকৌড়ি, বক, শামুককনা, চখপখিম, সারস, কাইমা, শ্রাইক, হরিয়াল, নারুন্দি, মানিকজোড়া, সাগর কৈতর, সি-গালসহ অসংখ্য প্রজাতির দেশি ও বিদেশি পাখিসহ হরেক রকমের পাখি ঝাঁকবেঁধে সমুদ্রসৈকতে ছুটে বেড়াচ্ছে| উপকূল জুড়ে পাখিদের ওড়াউড়ি, কালকাকলি আর কিচিরমিচির ডাকে মুখরিত|
অনেকে পাখির অবাধ বিচরণ আর ডানা মেলে উড়ে বেড়ানো কিংবা দলবেঁধে পানিতে ভেসে চলার ছবি ধারণ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন|
উপকূলে ঘুরতে আসা পর্যটক ও পাখিপ্রেমী সামিরা আক্তার বলেন, পাখি আমার খুবই পছন্দ| আমি বাসায়ও পাখি পালি| এই সময়ে এখানে অতিথি পাখির আনাগোনা বেড়ে যায়| স্হানীয় আবু জাফর বলেন, বছর কয়েক ধরে শীত এলেই নানা রকমের পাখির কলরবে মুখরিত হয়ে ওঠে উপকূল| এসব পাখি দেখতে দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকরা এখানে আসে; কিন্তু শীতের শেষের দিকে ধীরে ধীরে এসব পাখি কোথায় উধাও হয়ে যায়|
চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিত ভট্টাচার্য বলেন, সাধারণত শীত মৌসুমে ৯৫ শতাংশ পরিযায়ী পাখি আসে| সাধারণত অক্টোবর মাস থেকেই হাঁস জাতীয় বিভিন্ন পাখি আসতে শুরু করে| তবে বেশিরভাগ আসে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে| পাখিরা জলাধারের পাশাপাশি যেসমস্ত জায়গায় গাছগাছালি রয়েছে সেসব জায়গায় অবস্হান করে| আনোয়ারার মধ্যে সমুদ্রের উপকূল, কেইপিজেডের বিভিন্ন লেক এবং বিভিন্ন পুকুর ডোবায় এই মৌসুমে বেশি পরিমাণে এই সমস্ত অতিথি পাখির আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়|
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রতি বছর শীতের শুরু থেকেই উপজেলায় অতিথি পাখির বিচরণ লক্ষ্য করা যায়| কেউ যাতে এসব পাখি শিকার করতে না পারে সে জন্য আমরা মাঠ পর্যায়ে মানুষকে সচেতন করা ছাড়াও নানা ধরনের ব্যবস্হা নিয়ে থাকি|