ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারী, ২০২২ ২২:৩৬ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৭১ বার
করোনাকে কেন্দ্র করে সরকারী বিধিনিষেধকে কারণ হিসাবে চিহ্নিত করে সকল প্রকার গণপরিবহনের ভাঢ়া বৃদ্ধির পায়তারা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এ আহ্বান জানান।
তারা বলেন, এমনিতেই জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির অযুহাতে বাসভাড়া দ্বিগুণ হলো। এখন আবার নতুন করে করোনার অযুহাত তুলে গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রীর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারমানে আবারও দ্বিগুণ ভাড়ার ডাকাতির কবলে পরতে যাচ্ছে দেশের গরীব জনগণ।
নেতৃদ্বয় বলেন, এরই মধ্যে খবর এসেছে, আবারও বিদ্যুত-গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে সরকার। অর্থাৎ আবারও গণপরিবহন থেকে শুরু করে একলাফে সমস্ত পণ্যের দাম হুহু করে বেড়ে যাবে। সরকারী নির্দেশনায় গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রীর হুকুম দেয়া হলেও একই দেশে বিমানের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয় কেন?
তারা আরো বলেন, অর্ধেক যাত্রীর নির্দেশনায় দ্বিগুণ ভাড়ার ছোবলে পরবে গরীব জনগণ। করোনার মূল্য চুকাতে হবে শুধুই গরীবের বাহনকে। এটা সরাসরি রাষ্ট্রীয় বৈষম্য। আইনের দৃষ্টিতে সমতার নীতির পরিপন্থী। করোনার অযুহাতে যাত্রীদের জিম্মি করে বাস ভাড়া বৃদ্ধি মানবাধিকার পরিপন্থী ও চরম বৈষম্যমূলক।
নেতৃদ্বয় বলেন, আকাশছোঁয়া উন্নয়নের দাবীদাররা গরীবের গণপরিবহনকে রাজনৈতিক ছত্রছায়া, পেশি-শক্তি, মানুষ পিষে মারা ও চাঁদাবাজির দানবে পরিনত করেছে। বেশির ভাগ বাসমালিকই প্রভাবশালী শ্রমিক নেতা। সরকারের নীতিনির্ধারক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও বেনামীতে এগুলোর মালিক। এরা সবাই আইন-কানুন ও সব কিছুর ঊর্ধ্বে। তাই সুযোগ পেলেই এরা গরীবের পকেট কেঁটে রাজডাকাতি করায় সর্বদা প্রস্তুত।
তারা বলেন, এমন সংকটে বাসে ভাড়া বাড়ানোর অজুহাতে লেগুনা, টেম্পু, অটোরিকশা, রিকশায়ও ভাড়া বহুগুণ বাড়তি আদায় করা হয়েছিল, যা আয় কমে যাওয়া সাধারণ মানুষের সংকটকে আরও বেশি ঘনীভূত করবে। যতই নির্দেশনা আসুকনা কেন, জণগনের আবার নতুন করে দ্বিগুণ বাস ভাড়া দেবার সক্ষমতা ও সহ্যক্ষমতা কোনটাই আর অবশিষ্ট নাই।
নেতৃদ্বয় বলেন, করোনার সংকটে পৃথিবীর দেশে দেশে গণপরিবহনে যাত্রী কমেছে। অর্ধেক আসনে যাত্রীবহন করলেও প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশসহ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গণপরিবহনে ভাড়া বাড়ানো হয়নি।