ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারী, ২০২২ ১২:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৪৮ বার
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার অভিযোগ করে বলেছেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক নির্বাচনে নাগরিকদের মধ্যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছেন। নানক কিছু সহকর্মী নিয়ে নির্বাচনের মাত্র দুদিন বাকি থাকতে বৃহস্পতিবার রাতে ডিসি-এসপির সাথে বৈঠক করেছেন। তিনি এটা করে নির্বাচন নিয়ে ভোটার না হয়েও নাগরিকদের মধ্যে একটা ধোঁয়াশা সৃষ্টি করেছেন।
শুক্রবার সকাল ১০ টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়া এলাকায় তার নির্বাচনী প্রধান সমম্বয়কএ টি এম কামালের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তৈমূর বলেন, আইন মতে বহিরাগত লোকজন নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে থাকার কথা না। সেখানে আইন না মেনে নারায়ণগঞ্জ সার্কিট হাউজ, ডাক বাংলো হোটেল, নারায়ণগঞ্জ ক্লাব বহিরাগত মেহমানে ভরপুর। এগুলো করে তারা নির্বাচনকে একটি সংঘাতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমি নাকি বসে পড়বো। বসে পড়ার জন্য নির্বাচনে নামিনি। নির্বাচন করার জন্য নেমেছি। আমি একটা দল করি। আমি বিএনপির একজন সক্রিয় সদস্য। এই দলের জন্য রাজপথে গুলিবিদ্ধ হয়েছি। মিডিয়াতে দেখেছেন পুলিশ কতবার শারীরিক ভাবে নির্যাতিত করেছে। তখন আমি দলের ক্যান্ডিডেট ছিলাম। নেত্রীর নির্দেশে আমি সরে দাড়াই। আজ পর্যন্ত জিজ্ঞেস করুনি কেন আমাকে সরিয়ে দেয়া হল। কারন আমি মনেকরি আমি দল করি দলের প্রতি আমার অনুগত থাকা দরকার। তাই আমি দলের প্রতি আমার দায়িত্ব পালন করেছি। ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ নারায়ণগঞ্জের একটি সভায় বলেছিলেন একজন প্রার্থীকে বিজয়ী করতে এবং আরেকজনকে পরাজিত করতে আমরা তৈমূরকে বসিয়েছি। সেটাও আমি মাথা পেতে নিয়েছি। ২০১৬ সালে আমাকে মনোনীত করা হলেও আমি নির্বাচন করিনি। শহরবাসীকে দুর্ভোগ লাঘবের জন্যেই আজ আমাকে নির্বাচনে নামতে হয়েছে।
পুনর্বাসন ছাড়া কোন হকারের পেটে লাথি দেয়া যাবে না কারও ছাদ কেড়ে নেয়া যাবে না। মৌলিক চাহিদার ওপর পৃথিবীতে কোন আইন নেই। নারায়ণগঞ্জের জনগণ স্বাচ্ছন্দ্যে চলবে হকাররাও পুনর্বাসিত হবে। শহরে যানজট থাকবে না।