ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

সাবেক বিচারপতি ও প্রবীণ রাজনীতিক টিএইচ খানের মৃত্যুতে বাংলাদেশ ন্যাপ'র শোক

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারী, ২০২২ ১০:৩১ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৫৯ বার


সাবেক বিচারপতি ও প্রবীণ রাজনীতিক টিএইচ খানের মৃত্যুতে বাংলাদেশ ন্যাপ'র শোক

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, প্রবীণতম আইনজীবী, প্রবীণ রাজনীতিক ও আন্তর্জাতিক আদালতের সাবেক বিচারপতি টিএইচ খানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

রবিবার (১৬ জুলাই) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক শোক বার্তায় নেতৃদ্বয় মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বলেন, বিচারপতি টিএইচ খানের মৃত্যুতে দেশের আইনাঙ্গনে যে শূণ্যতা সৃষ্টি হলো তা অপূরনীয়।

তারা বলেন, দেশ বরেণ্য ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় এই আইনবিদের মৃত্যুতে আইজবীবীরা একজন অভিভাবককে হারালো।

উল্লেখ্য, ১৯২০ সালের ২১ অক্টোবর ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলাধীন ঔটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে তিনি আইন পেশায় যোগ দেন। বিচারপতি টি এইচ খানের প্রকৃত নাম মো. তাফাজ্জাল হোসেন খান। তিনি ১৯৬৮ সনে তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে যোগদান করেন।

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই আইনবিদ ১৯৪৫ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ অনার্স এবং ১৯৪৬ সালে এমএ পাস করেন। ১৯৪৭ সালে তিনি আইন পেশায় যোগ দেন। ১৯৫১ সালে হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৬৮ সনে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ তিনি হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। দেশ স্বাধীনের পর তিনি আর বিচার বিভাগে যোগ দেননি। এরপর ১৯৭৩ সালে পুনরায় আইনজীবী পেশায় ফিরে আসেন। ১৯৭৪ সালে তিনি প্রথম বারের মতো সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন।

এরপর ১৯৭৯ সালে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালের ১৫ নভেম্বর আইন, শিক্ষা, ধর্ম, ভূমি ও রাজস্ব এবং ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। এরপর ১৯৮২ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সামরিক আইন জারি করলে তিনি আবার আইন পেশায় ফিরে যান। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ১৯৮৬ সালে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

১৯৯২ সালে টিএইচ খান জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস কমিশনের সদস্য এবং একই বছর জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৪ সালে তিনি দ্বিতীয় বারের মতো সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৫ সালে তিনি এশিয়া জোন থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত রুয়ান্ডা ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৯ সালের ১৯ জুন পর্যন্ত জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল পদে বিচার কাজ পরিচালনা করেন। এরপর দেশে ফিরে আবার আইন পেশা শুরু করেন।

বিচারপতি টিএইচ খান ১৯৯২ সালে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন এবং এ পদে ২০১১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বর্তমানে বিএনপির প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান।

১৯৪৭ সালে তিনি আইন পেশায় যোগ দেয়ার বছর ২৭ নভেম্বর সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রে প্রধান বিচারপতি সালেহ আকরামের নেতৃত্বে পাঁচজন বিচারপতি নিয়ে যে দিন ঢাকা হাইকোর্টের যাত্রা শুরু হয়, সে দিন থেকে বিচারপতি টি এইচ খান একজন আইনজীবী হিসেবে সেই আদালতে (বর্তমান সুপ্রিম কোর্ট) পদচারণা শুরু করেন।

আইন পেশা ছাড়াও প্রথম জীবনে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ, ঢাকার জগন্নাথ কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন ও আইন বিষয়ে অধ্যাপনা করেন টি এইচ খান।


   আরও সংবাদ