ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারী, ২০২২ ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৯৫ বার
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আদায়কৃত এ ধরনের অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অনেকেই জমা দিচ্ছে দেরিতে। অনেকেই আবার জমাই দিচ্ছে না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন।
অর্থ বিভাগ বলেছে, এ জাতীয় চর্চা আর্থিক শৃঙ্খলার পরিপন্থী এবং আদায় করা অর্থ এখন থেকে তাত্ক্ষণিকভাবে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আদায় করা অর্থদণ্ড ও জরিমানা তাৎক্ষণিক রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে স্বয়ংক্রিয় চালান পদ্ধতি ব্যবহারে সম্প্রতি একটি পরিপত্র জারি করেছে অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। এতে বলা হয়েছে, ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, দপ্তর ও সংস্থার অধীনে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আদায়কৃত অর্থদণ্ড ও জরিমানার অর্থ যথাযথভাবে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হচ্ছে না।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, অর্থ বিভাগ প্রবর্তিত ‘এ-চালান’ সিস্টেমের মাধ্যমে অনলাইনে অথবা যে কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকের যে কোনো শাখায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/দপ্তর/সংস্থা বা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের আওতায় মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ মোতাবেক পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আদায়কৃত অর্থদণ্ড, জরিমানা, বাজেয়াপ্ত অর্থ এবং বাজেয়াপ্তকৃত দ্রব্য বিক্রয়লব্ধ অর্থ সরাসরি সরকারি কোষাগারে জমাকরণের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক কোড রয়েছে। এই কোড ব্যবহারের অনুরোধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ‘এ-চালান’ হচ্ছে অটোমেটেড বা স্বয়ংক্রিয় চালান পদ্ধতি, যার মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ও বিভিন্ন মাশুল সহজে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া যায়। ‘এ-চালান’ ব্যবহার করে যে কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকের যে কোনো শাখা থেকে তাত্ক্ষণিকভাবে টাকা জমা দেওয়া যায়।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, জরিমানার কোড—১৪৩১১০১, বাজেয়াপ্তকরণের কোড—১৪৩১১০৩ এবং বাজেয়াপ্ত দ্রব্য বিক্রি করে আদায় করা অর্থের কোড—১৪৩১১০৪। বাজেয়াপ্ত দ্রব্য নিলামের মাধ্যমে বিক্রির ক্ষেত্রে ক্রেতার কাছ থেকে আয়কর ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এ-চালান পদ্ধতিতে জমা দেওয়ারও অর্থনৈতিক কোড রয়েছে দুইটি। এগুলো হচ্ছে—১১১১১০১ এবং ১১৪১১০১।