ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

সিইসির মিথ্যাচারে আমরা স্তম্ভিত : বদিউল আলম

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারী, ২০২২ ২১:০৩ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৪৭ বার


সিইসির মিথ্যাচারে আমরা স্তম্ভিত : বদিউল আলম

মানহানিকর ও আপত্তিকর বক্তব্যের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘সিইসি নূরুল হুদার মিথ্যাচারে আমরা স্তম্ভিত।’

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সুজনের ফেসবুক পেজে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সিইসির দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে সুজন এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে ড. তোফায়েল আহম্মেদ, এম হাফিজউদ্দীন খান, ড. শাহদীন মালিক, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, দিলীপ কুমার সরকারসহ সুজনের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
 
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সিইসির বক্তব্যে কেবল আমার নয়, সুজনের সাথে যারা যুক্ত রয়েছেন, সবার মানহানি হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে মানহানি মামলা করব কি না, পরে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ক্ষমতা অনেক। রাতকে দিন আর দিনকে রাত করা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে তারা সব কাজ করতে পারে। আদালতের রায় আছে- নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ উঠলে ইসি তদন্ত করতে পারে। তদন্তে সেই অভিযোগ প্রমাণ হলে নির্বাচন বাতিল করতে পারে। কিন্তু তারা কোনোটিই করেনি।’

তিনি বলেন, ‘দলগুলো আদালতে যায়নি বলে সিইসি অজুহাত দেখিয়েছেন। কিন্তু ৭০টির মতো মামলা হয়েছে। একটিরও শুনানি হয়নি। ব্যালট পেপার খুললে মধ্যরাতে ভোট হয়েছে প্রমাণ হতো। এছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) প্রিজাইডিং কর্মকর্তার হাতে ব্যালট ইউনিটে ২৫ শতাংশ ব্যালট পেপার ওপেন করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল। এমন অনিয়মের বিষয়ও উঠে এসেছে। আমাদের দুর্ভাগ্য, এরকম একজন খলনায়ককে সিইসি পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।’
 
সংবাদ সম্মেলনে ড. শাহদীন মালিক বলেন, সমালোচনা এড়িয়ে যাওয়ার নিকৃষ্ট পন্থা হচ্ছে ব্যক্তি আক্রমণ। সিইসির বক্তব্য অপ্রত্যাশিত।

ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, একজন বিদায়ের সময় ভুল ভ্রান্তি নিয়ে মাফ চায়, সুন্দরভাবে বিদায় নেয়। কিন্তু তিনি উল্টোটা করেছেন। সুজন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেয়া কাজ করায় কারো ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধার হয়নি।

লিখিত বক্তব্যে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, যৌক্তিক সমালোচনার উপযুক্ত জবাব না থাকলে সমালোচকের চরিত্র হননের অপচেষ্টায় লিপ্ত হওয়া বহুল ব্যবহৃত একটি অপকৌশল। ঠিক এমনই এক অপকৌশল ব্যবহারের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন সিইসি কে এম নূরুল হুদা।

গত ২৭ জানুয়ারি রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমাক্রেসি (আরএফইডি) আয়োজিত ‘আরএফইডি টক উইথ কে এম নূরুল হুদা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের বিরুদ্ধে এক কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)।

এ বিষয় সম্পর্কে সুজন সম্পাদক বলেন, দেশের মর্যাদাপূর্ণ একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পদে বসে তাকে এমন মিথ্যাচার করতে দেখে আমরা হতবাক। তার এই মিথ্যাচারের প্রতিবাদেই আমাদের এই সংবাদ সম্মেলন। প্রথমত, নির্বাচন কমিশনের সাথে ড. বদিউল আলম মজুমদারের ব্যক্তিগত আর্থিক লেনদেনের কোনো সম্পর্ক নেই এবং কোনোদিন ছিলও না। তিনি কমিশন থেকে কখনো কোনো কাজ নেননি, অসমাপ্ত রাখার তো কোনো প্রশ্নই আসে না।’
 
২০১১ সালে অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের সময় হলফনামায় বর্ণিত প্রার্থীদের তথ্য প্রকাশ, প্রার্থীদের ভোটারদের মুখোমুখি অনুষ্ঠানের আয়োজনের কাজটি করার জন্য ড. শামসুল হুদা কমিশন ইউএনডিপির অর্থায়নে পরিচালিত এসইএমবি প্রকল্প থেকে সুজনকে ৯ লাখ ৫০ হাজার ৬০০ টাকা দেয়।

তিনি বলেন, ২০১২ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় একই ধরনের কাজের জন্য সুজনকে ৩ লাখ টাকা দেয়া হয়। অর্থাৎ দুটি নির্বাচনে সর্বমোট ১২ লাখ ৫০ হাজার ৬০০ টাকা সুজন নির্বাচন কমিশন থেকে পায়। অথচ আমার বিরুদ্ধে সিইসি কে এম নূরুল এক কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন।


   আরও সংবাদ