নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারী, ২০২২ ১৭:৫৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৭০ বার
সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহার উপজেলা সদর হতে জেলা ও দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার একমাত্র প্রধান সড়কের পাশে পাকা ড্রেন নির্মাণ না করায় সড়কের বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সদরের গোডাউন পাড়া পেট্রোলপাম্পের পুর্ব পাশের প্রধান সড়কের মধ্যেবর্তী স্থানে সারাবছর নোংরা পানি জমে থাকে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় আশে পাশের বাসা বাড়ির পানি নিষ্কাশন হয় সড়কের উপর দিয়ে। যার ফলে বার বার সড়কটি সংস্কার করা হলেও কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানাখন্দক তৈরী হয়। চলাচলে যানবহন সহ পথচারীদের পড়তে হয় মহা ভোগান্তিতে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সাপাহার—নজিপুর সড়রে ওই স্থানে সড়কের পাশ দিয়ে প্রায় আধা কিলোমিটারের মধ্যে কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। আশপাশের বাড়ীর ব্যবহৃত পানি সড়কের পাশে জমে থাকে। সড়ক ও জনপথ থেকে বার বার সড়কটি সংস্কার করা হলেও উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং। যার ফলে রাস্তা ভেঙ্গে পরিণত হচ্ছে খানা—খন্দে। জেলা শহর হতে রাজধানী পর্যন্ত যাওয়ার জন্য এটিই একমাত্র সড়ক। এই সড়কের উপর দিয়ে নাইট কোচ,ডে কোচ সহ নানা ধরণের যানবহন ও পথচারীদের চলাচল করে প্রতিনিয়ত। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মানুষের চলাচল। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। এছাড়াও খানা—খন্দক সৃষ্টি হবার ফলে রাস্তায় চরম যানজটের সৃষ্টি হয়। যার কারনে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ পথচারীদের। ব্যস্ততম সড়কের এরূপ বেহাল দশায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার সম্ভাবনায় ভুগছেন সাধারণ মানুষ। দেশের সর্ববৃহৎ আম বাজার বসে এই সড়কের দুপাশেই। এই স্থানে যানজটের ফলে পণ্য পরিবহনে অতিরিক্তি সময় লাগছে বলে অভিযোগ করছেন ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা আজাহার আলী বলেন, সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এবং কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারনে সাধারণ জনগণকে এধরণের বেহালদশা পোহাতে হচ্ছে। আশপাশের বাড়ীর ব্যবহৃত পানি রাস্তার পাশে জমে থাকছে। স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করলেও কর্তৃপক্ষের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় দীর্ঘ সময় ধরে জমে থাকে বর্ষার পানি। সড়কের উপর দিয়েই অবিরাম পানি প্রবাহিত হতে হতে থাকে। যে কারনে সড়কে ফাটল ধরে কার্পেটিং উঠে যায়।
একাধিক আম ব্যবসায়ী জানান, আমের মৌসুমে এমনিতেই এই সড়কে চরম যানজট হয়। তার উপর ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার কার্পেটিং উঠে যায়। যার কারনে যানজট বেশি হয়। যাতে করে ভোগান্তিতে পড়তে হয় চালক,আড়ৎদার সহ আম ব্যাপারীদের।
অপরদিকে উপজেলার সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ড্রেনটি সংস্কার ও পরিচ্ছন্নতার অভাবে সারাবছর জলাবদ্ধতা থাকে। সারা বছর লোক চলাচলের জন্য এই সড়কটিও প্রায় অনউপযোগী হয়ে থাকে । যার ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থী সহ পথচারীদের চলাচলে চরম সমস্যার সৃষ্টি হয়। আশপাশের বাসিন্দারা ড্রে্রনে বর্জ্য পলেথিন, ময়লা—আবর্জনা ফেলে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ কেও ফেলেছেন বলে অভিযোগ পথচারীদের।
স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি বেশ কয়েকবার নিজ উদ্যোগে ড্রে্র পরিষ্কার করেছি। কিন্তু আশপাশের লোকেরা যদি পরিস্কার না রাখতে চায় তাহলে তো আর করার কিছু থাকেনা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন জানান আমাদের ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে । উল্লেখিত বিষয়টি সরেজমিনে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহজাহান হোসেন মন্ডল বলেন, উল্লেখিত স্থান সমুহে ড্রেন নির্মাণকরা জরুরী। আমি দেখেছি ওই সড়কটির বেহাল দশা। এটি সড়ক ও জনপথের কাজ। আশা করি উনারা বিষয়টি আমলে নিয়ে শীঘ্রই সৃষ্ঠ সমস্যা নিরসনে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।