ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ১৬:৪৪ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৩৬ বার
বরগুনাগামী ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে যাওয়া লঞ্চ অভিযান-১০-এর
মালিক মো: হাম জালাল শেখকে জামিন দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার বরগুনার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত তাকে জামিন দেন।
জামিন পাওয়া মো: হাম জালাল শেখ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, লঞ্চ অভিযান-১০ ঢাকা থেকে গত ২৩ ডিসেম্বর বরগুনা
উদ্দেশ্য ছেড়ে এসে রাত ৩টায় ঝালকাঠি সুগন্ধা নদীতে হঠাৎ ভয়াবহ আগুনে পুড়ে
গেছে। সেই আগুন মুহুর্তের মধ্য লঞ্চে আগুন ছড়িয়ে যায়। এতে এ পর্যন্ত ৫০ জন
যাত্রী মারা যায়। এছাড়াও ৭২ জন যাত্রী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। অনেক
যাত্রী নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় জনস্বার্থে বরগুনার স্থানীয় আওয়ামী লীগের
চেয়ারম্যান ও অ্যাডভোকেট মো: নাজমুল ইসলাম নাসির বরগুনা চীফ জুডিসিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৬ ডিসেম্বর লঞ্চের মালিক মো: হা জালাল
শেখসহ ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে ঢাকার সূত্রাপুর থানায়
দাখিলকৃত একটি মামলায় লঞ্চ মালিককে গত ২৭ ডিসেম্বর গ্রেফতার করেন।
বরগুনা থানার তদন্তকারী অফিসার ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) মো: শহিদুল ইসলাম
বরগুনা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে লঞ্চ মালিককে ৪ জানুয়ারি সোন অ্যারেষ্ট (দৃশ্যগত) দেখানোর আবেদন করেন। চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাহবুব আলম ওই দিন মালিককে দৃশ্যত (শ্যোন এ্যারেস্ট) গ্রেফতার দেখান। আসামির পক্ষে গত ১ জানুয়ারিতে জামিনের আবেদন করলে আজ শুনানির দিন রেখেছিলেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এ বিষয়ে আসামি পক্ষের বিজ্ঞ আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম মজিবুল হক কিসলু নয়া দিগন্তকে বলেন, আমি আদালতে বলেছি, একই বিষয় নিয়ে একাধিক আদালতে মামলা চলতে
পারে না। নৌযান সংশ্লিষ্ট মামলার বিচার করার জন্য অভ্যন্তরীন নৌ চলাচল
অধ্যাদেশ ১৯৭৬-এর ধারা ৪৭ অনুযায়ি নৌ-আদালত প্রতিষ্ঠিত করা হয়। উক্ত
অধ্যাদেশের ৭৩ ধারা অনুযায়ী নৌযান সংশ্লিষ্ট মামলার বিচার করার জন্য নৌ আদালতই
উপযুক্ত। আমরা আদালতে আরো বলেছি, বাংলাদেশ সংবিধান ৩৫ (২) অনুচ্ছেদে বলা আছে এক অপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তিকে একাধিকবার ফৌজদারিতে সোপর্দ ও দণ্ডিত করা যাবে না।
এ ছাড়া লঞ্চের ফিটনেস, রুট পারমিট সব কিছু সঠিক ছিল। আসামি ওই দিন লঞ্চে ছিলেন
না। সার্বিক বিবেচনায় ম্যাজিষ্ট্রেট একজন বয়স্ক আসামিকে জামিন দিয়েছেন।
রাষ্ট্র পক্ষের সিএসআই জহিরুল ইসলাম বলেন, আমি জামিনের বিরোধিতা করেছি।