ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ২০:৩০ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৩৫ বার
নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে সার্চ কমিটি নাম চাইবে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের কাছে এর কোনো মূল্য নেই। অর্থহীন, নাম দেয়ার তো প্রশ্নই উঠতে পারে না। আমরা গতবার ও তার আগের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি যে কোনো লাভ হয় না। যে সরকার থাকে তার পছন্দের কমিশন তারা তৈরী করবে। সেটাই তারা করবে।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর পান্থপথে বিআরবি হাসপাতালে সন্ত্রাসী হামলায় আহত নাটোরের গুরুদাশপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সাথে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সার্চ কমিটি ও ইসি সম্পর্কে স্পষ্ট করে আমাদের বক্তব্য বলেছি। আমরা মনে করি যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকা ও আবার ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যা যা করা দরকার তাই করছে। তারা আইনও একটা করেছে, মানুষকে প্রতারণা করার জন্য। তারা দেখাতে চায়, সবকিছু সুন্দরভাবে করছি। সবার কাছ থেকে মতামত নিয়ে করছি। কিন্তু দেখা যাবে হুদার মতো লোকজনকেই তারা বানাবে।
তিনি বলেন, এই সার্চ কমিটির মধ্যে বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের সাথে সংশ্লিষ্ট। একজন আছেন যিনি আওয়ামী লীগের নমিনেশন চেয়েছিলেন। এ ধরনের সার্চ কমিটি করবে আগে থেকে জানি বলেই আমরা সার্চ কমিটি ও রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়ার ব্যাপারে না করে দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, এখনো বলছি যে এই সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশন যদি আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে হয় সেটা কখনো গ্রহণযোগ্য হবে না। নির্বাচনই গ্রহণযোগ্য হবে না। যদি নির্বাচনকালীন সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার থাকে। অর্থাৎ নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না।
তিনি বলেন, আজকে আমরা এখানে এসেছিলাম নাটোরের গুরুদাশপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজ সাহেবকে দেখতে। তিনি ৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় একটি জানাজা থেকে ফেরার সময় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আক্রমণ করে। হত্যার উদ্দেশে তাকে আক্রমণ করে। তার মাথায় ৪০/৪৫টা সেলাই লেগেছে। বাম পায়ের রগ কেটে দিয়েছে।
মহাসচিব আরো বলেন, গতকাল দেখেছেন নয়াপল্টনে ছাত্রদলের মিছিলে হামলা করা হয়েছে। মহানগর নেতা মজনুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ কখনোই এ ধরনের নির্যাতন বরদাশত করেনি। গণতন্ত্রকে হত্যা করা, মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়া এটা অবশ্যই সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে জনগণ তাদের অধিকার ফিরিয়ে আনবে।
২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের পরপরই বিশ্বের প্রায় সব গণতান্ত্রিক দেশ বলেছে নির্বাচনটা প্রতারণামূলক হয়েছে। জালিয়াতিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। জনগণের অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে হয়নি, প্রত্যেকটা গণতান্ত্রিক দেশ বলেছে। সুতরাং বিদেশের সেই চাপতো থাকতেই হবে। গণতান্ত্রিক বিশ্বের চাপতো থাকবেই।
এ সময় মহাসচিবের সাথে ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ নেতৃবৃন্দ।