নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ১৭:০৩ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬০২ বার
সরকারি ঘর প্রাপ্তির প্রত্যাশায় রয়েছেন
বখতিয়ার রহমান,পীরগঞ্জ(রংপুর) ঃ
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার অনেক ভুমিহীন পরিবার সরকারী ভাবে ঘর বরাদ্দ
প্রাপ্তির আশায় দীর্ঘ দিন ধরে প্রহর গুনছেন । তারা চায় তাদের মাথা
গোঁজার একটু নুন্যতম স্থায়ী আশ্রয় । এমনি পরিবার গুলোর মধ্যে চতরা
ইউনিয়নের একটা নিদৃষ্ট স্থানের ৫০টি পরিবার রয়েছে । তারাও প্রহর
গুনছেন একটু স্থায়ী আশ্রয়ের জন্য ।
সরেজমিন খোজ নিয়ে জান গেছে, উপজেলার চতরা ইউনিয়নের শমসের
পাড়া থেকে ধর্মদাস পলিপাড়া পর্যন্ত গড়ের উপর অনেক মানুষের বসবাস ।
তাদেও মধ্যে ৫০টি পরিবার রয়েছে যারা একেবারে ভ’মিহীন । যেনতেন ভাবে
এ গড়ের উপরেই মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নিয়েছেন । মাটির তৈরী ঘরের
উপর নামমাত্র ছাউনি দিয়ে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে রাত কাটাচ্ছেন
তারা। আকাশে মেঘ জমলে, মেঘের গর্জনে এরা ভয় পায়। অর্থের অভাবে
স্থায়ী ঘর তৈরী করতে না পারায় এ পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন
করছেন। অনেক সচ্ছল পরিবার গড়ের খাস জায়গা দখল নিয়ে পাকা ঘর
নির্মাণ করলেও ৫০ টিরও বেশি ভুমিহীন পরিবার স্থায়ী ঘর নির্মান করতে
পারেননি । এ পরিবার গুলোর বাড়ি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় তারা
এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছেন । শমসের পাড়া গ্রামের ভুমিহীন
আমজাদ আলী ও আজিজার রহমান এর মতে তারা গত ৩০ বছর ধরে এ গড়ের
উপরই বসবাস করছেন। মাটির তৈরী দেয়াল বর্ষা এলেই ধ্বসে ভেঙে যায়।
তাই প্রতি বছরই ঘরগুলো সংস্কার করতে হয় । তারা সরকারের দেয়া উপহার
মডেল ঘর প্রত্যাশা করলেও কি ভাবে পাবেন তা অজানা । তাদের অনেকেই
ইউনিয়ন ও উপজেলা ভুমি অফিসে যোগাযোগ করেও এখনও কোন ফল
পাননি। তার পরেও তাদের প্রত্যাশা ঘর পাবেন । আর সে অপেক্ষায় রয়েছেন এ
ভ’মিহীন পরিবার গুলো ।
এ ব্যাপারে চতরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহীন বলেন,
প্রতিটি ভুমিহীন পরিবার ঘর বরাদ্দ পাবে।
এ বিষয়ে চতরা ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা নুরে আলম বলেন,
ভুমিহীনদের নাম অন্তভ’র্ক্ত করা হয়েছে। ঘর পাবে,তবে সময় লাগবে।