ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ১৭:৪৩ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪২০ বার
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশসগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় স্বল্প মূল্যে অধিকতর সবুজ, টেকসই এবং উন্নত প্রযুক্তি সরবরাহ অত্যন্ত জরুরি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার জেনেভাস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা সংক্রান্ত অগ্রাধিকারসমূহ’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে ভাচ্যুয়ালি যোগ দিয়ে এ কথা বলেন।
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ)-এর আওতায় অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সম্ভাব্য করণীয়সমূহ তুলে ধরা হয়।
২০১১-১৩ মেয়াদে সিভিএফ সভাপতি হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালনের পর বাংলাদেশ দ্বিতীয় মেয়াদে জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা ৫৫টি দেশের এ ফোরামের সভাপতিত্ব করছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের মানুষের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবগুলো সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবহিত করেন। একইসাথে মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত কার্যক্রমসমূহও তুলে ধরেন।
তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জানান।
এ সময় তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের অতি ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর উন্নয়ন প্রতিবন্ধকতাগুলো অতিদ্রুত নিরসন করার জন্য উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
বিশেষ করে, তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এ সব দেশগুলোর বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ওপর নেতিবাচক প্রভাবগুলো প্রশমনের ওপর জোর দেন।
অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. এনগোজি ওকোনিও আইওয়েলা, বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থার মহাপরিচালক ড. দারেন তাং, জাতিসঙ্ঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার উপ-মহাসচিব ইসাবেল ডুরান্ট, জাতিসঙ্ঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থার উপ-মহাপরিচালক হিরোশি কুনিওশি, সিভিএফ সভাপতির বিশেষদূত মো: আবুল কালাম আজাদ, সাউথ সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক ড. কর্লোস মারিয়া কোরেয়া এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, ভারত ও বার্বাডোসের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধিগণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
সূত্র : বাসস