ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

‘হরতাল ধর্মঘট রাজনৈতিক চর্চা, তবে জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করবেন না’

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ২৪ মার্চ, ২০২২ ১৮:৩৪ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৩৭ বার


‘হরতাল ধর্মঘট রাজনৈতিক চর্চা, তবে জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করবেন না’

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ২৮ মার্চ বাম জোটের আহুত হরতালকে ইঙ্গিত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘হরতাল, ধর্মঘট, রাজনৈতিক চর্চা। রাজনৈতিক দলগুলো এগুলো করতেই পারে। আমরা মনে করি যে, রাজনৈতিক দলগুলো সহনশীলতার পরিচয় দেবে। তারা কোনো ভাংচুরে যাবে না, ধংসাত্মক কাজ করবে না। জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করবে না। করলে যেটা হয় সেটাই হবে।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে দামপাড়ায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের নবনির্মিত পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন এলে অনেকেই অনেক কৌশল অবলম্বন করে। জনগণের ভোট ছাড়া অন্যভাবে ক্ষমতায় আসা যায় কি-না, এ ধরনের কৌশল অনেকেই করে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জনগণের ভরসায় চলেন, জনগণের শক্তিকে নিজের শক্তি মনে করেন। কাজেই জনগণের শক্তিতেই তিনি রাজনীতি করেন। জনগণের আস্থায় রাজনীতি করেন। যারা অপচেষ্টা করবেন, তারা জনগণ দ্বারা ধিকৃত হবেন এবং জনগণ থেকে দূরে সরে যাবেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে হরতাল ডেকেছে। এটা শুধু বাংলাদেশে বাড়েনি। সারাবিশ্বেই বেড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পরিবহন ব্যয় তিনগুণ হয়ে গেছে। আমাদের দেশ তেল আমদানি করে, অনেক কিছুই আমদানি নির্ভর। কাজেই আমদানির ক্ষেত্রে দাম যে অস্বাভাবিক বেড়েছে তার প্রভাব কিছুটা দেশের বাজারে পড়েছে। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। দাম যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী ভ্যাট ও ট্যাক্স কমিয়ে দিয়েছেন। পিঁয়াজ ও তেলের দাম এখন নিম্নমুখী। আমাদের প্রচেষ্টা কোনো কমতি নেই, তারপরও যদি কেউ হরতাল ডাকে, আমাদের কিছু বলার নেই। আমাদের আবেদন থাকবে, যারা হরতাল ডেকেছে তারা যেন ধ্বংসাত্মক কোনো কাজ না করে এবং জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি না করে।

এর আগে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, চট্টগ্রামের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর।

এ সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. শামসুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) সানা শামিনুর রহমান, উপ পুলিশ কমিশনার (সদর) মো. আমির জাফর, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হকসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : ইউএনবি


   আরও সংবাদ