ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল, ২০২২ ১৫:২৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৩৩ বার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তির আবেদন ফি গতবছরের ৩৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করা হয়েছে। তিন শিক্ষাবর্ষের মধ্যেই ধাপে ধাপে তা ১০০০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ভর্তির আবেদন ফি বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক প্রগতি বর্মন তমা। এক যুক্ত বিবৃতিতে তারা বলেন, “বছর বছর ভর্তির আবেদন ফি বৃদ্ধি করে শিক্ষাকে বাণিজ্যিক পণ্যে পরিণত করা হচ্ছে, যা শিক্ষা গ্রহণের সুযোগকে দিন দিন সংকোচিত করছে।”
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “বাংলাদেশের নি¤œবিত্ত, নি¤œমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠা প্রাইভেট বিশ^বিদ্যালয়গুলোর বিপরীতে এখনো আশা ভরসার জায়গা ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় সহ দেশের পাবলিক বিশ^কিদ্যালয়গুলো। কিন্তু ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন এই বিশ^বিদ্যালয়ের গৌরব ঐতিহ্যকে ব্রাÐ ভ্যালু হিসেবে ব্যবহার করে ভর্তির আবেদন ফি বাড়িয়ে ফেললো। এর মধ্য দিয়ে একদিকে তারা শিক্ষাকে দূমুল্য করলো, বাণিজ্যিকীকরণ করলো আরেকদিকে বিশ^ব্যংক এর পরামর্শে ইউজিসি’র ২০ বছর মেয়াদী কৌশলপত্র আরেকধাপ এগিয়ে নিলো। যে কৌশলপত্রে বলা আছে ২০২৬ সালের মধ্যে অভ্যন্তরিন আয়ের লক্ষমাত্রা ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশে উন্নিত করা হবে। ইতোমধ্যে বিভিন্নভাবে আমরা এর ফলাফল দেখেছি। আমাদের সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে এই কৌশলপত্র বাতিলের দাবী জানিয়ে আসছে।”
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “করোনাকালীন সময়ে নি¤œবিত্ত মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো দারীদ্রসীমার নিচে চলে গেছে। আবার এই সময়ে চড়া দামে জিনিসপত্র কিনতে হচ্ছে। ফলে এই পরিবারগুলো এমনিতেই সংকটে আছে তার উপর আবার এই ফি বাড়ানো তাদের উপর ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’ এর সামিল। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠার জন্য শিক্ষা খাত নিয়ে এই রাষ্ট্রের বিশেষ কোনো পরিকল্পনা ছিল না, ছিল না কোনো ধরনের বিশেষ বরাদ্দ। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট করোনাকালীন শিক্ষাবর্ষে সকল ধরনের ফি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিল। সেদিকে কান না দিয়ে এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির আবেদন ফি বাড়ানো হলো।”