স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল, ২০২২ ১০:২৫ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬৩৫ বার
রিয়াল মাদ্রিদ-চেলসি, সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দুই দলের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে কী ছিল না! উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচটিতে পরতে পরতে রোমাঞ্চের সর্বোচ্চ জাগিয়ে চেলসিকে থামিয়ে শেষ পর্যন্ত সেমিফাইনালে জায়গা করে নিলো লস ব্লাঙ্কোসরা।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে ৩-২ ব্যবধানে জিতেছে চেলসি। কিন্তু প্রথম লেগে ৩-১ গোলে হারাটাই কাল হলো ব্লুজদের। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শেষ চারে জায়গা করে নিলো রিয়াল।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচের এক পর্যায়ে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সেমিফাইনালে এক পা প্রায় দিয়েই রেখেছিল চেলসি। সেখান থেকে লুকা মদ্রিচ-রদ্রিগোর পর ভিনিসিয়াস জুনিয়র-করিম বেনজেমার জাদুতে ২ গোল পরিশোধ করে সর্বশেষ আসরের প্রতিশোধ নেয় রিয়াল। গতবার চেলসির কাছে হেরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয় কার্লো আনচেলত্তির দল।
প্রথম লেগে বড় ব্যবধানে হারা চেলসি রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠে অলআউট ফুটবল খেলেই শুরু করে। রিয়ালকে তাদের মাঠেই কোণঠাসা করে রাখে থমাস টুখেলের দল। আক্রমণ, আক্রমণ এবং আক্রমণে রিয়ালকে বার্নাব্যুতে যেন অতিথি দল বানিয়ে ফেলে ব্লুজরা।
আক্রমণের পসরা সাজানো চেলসি ম্যাচের ১৫তম মিনিটে ম্যাসন মাউন্টের গোলে এগিয়ে যায়। প্রথমার্ধের বাকি সময়েও আক্রমণের সব গল্প ছিল চেলসির দখলে। সেই চাপ ধরে রেখে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে ম্যাচের ৫১তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় দলটি।
অ্যান্তোনিও রুদিগারের গোলে দুই লেগ মিলিয়ে ম্যাচ তখন সমতায়। জয়ের জন্য মরিয়া চেলসি এরপর যেন আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠে। ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে টিমো ওয়ের্নারের গোলে দুই লেগ মিলিয়ে এবার এগিয়েই যায় চেলসি।
বার্নাব্যুতে লজ্জায় পড়তে যাওয়া রিয়ালের ঘুরে দাঁড়ানো শুরু হয় এরপরে। ম্যাচের ৭৮তম মিনিটে আক্রমণের ধার বাড়ানোর জন্য কাসেমিরোকে উঠিয়ে রদ্রিগোকে নামায় আনচেলত্তি। কোচের এমন সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে ২ মিনিটের বেশি সময় নেয়নি এই ব্রাজিলিয়ান।
মাঝমাঠের কিছুটা সামনে থেকে মদ্রিচের বাড়ানো জাদুকর পাস থেকে ভলিতে রিয়ালকে ম্যাচে ফেরায় রদ্রিগো। যদিও গোলটির জন্য সম্পূর্ণ কৃতিত্বের দাবিদার মদ্রিচই। মাঝমাঠ থেকে বাম দিক থেকে বাঁকানো শটে ডি-বক্সে সরাসরি রদ্রিগোর কাছে বল তুলে দেন এই ক্রোয়েট মিডফিল্ডার।
দুই লেগ মিলিয়ে সমতা থাকা অবস্থায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়। ম্যাচের ভাগ্য তখন গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। খেলা আবার শুরু হওয়ার ছয় মিনিটের মধ্যে রোমাঞ্চ জাগিয়ে রিয়ালের জয় নিশ্চিত করে সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে ভাসান বেনজেমা। ডি-বক্সের ভেতরে ভিনিসিয়াস বেনজেমাকে ক্রস করলে হেডে নিজেদের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেন এই ফরাসি। এ নিয়ে চলতি চ্যাম্পিয়নস লিগে ১২ গোল করলেন বেনজেমা।
দুই লেগ মিলিয়ে ম্যাচে পিছিয়ে পড়া চেলসি এরপর আক্রমণে নিজেদের সর্বোচ্চটা দেয়। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রিয়ালের জালে আর বল ঢুকাতে পারেনি দলটি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচে ২৮ আক্রমণ করেও দুঃখ নিয়ে বিদায় নিতে হয় চেলসিকে।