ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৫ মে, ২০২২ ২২:১৬ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৬৯ বার
মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ এবং কমিটির পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই ঘটনায় একটি আবাসন সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালককেও আসামি করা হয়েছে।
অল্প দামে জমি কিনে বাড়তি দাম দেখিয়ে ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে এই ছয় আসামির বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (৫ মে) ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলাটি করেন দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
এ মামলার আসামিরা হলেন এনএসইউ'র বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, মোহাম্মদ শাজাহান ও রেহানা রহমান। অপর আসামি হচ্ছেন, বেসরকারি আবাসন সংস্থা আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের পাঁচ সদস্যের অনুমোদনের মাধ্যমে এ অর্থ আত্মসাৎ করা হয়। আসামিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ডেভেলপমেন্টের নামে নয় হাজার ৯৬.৮৮ ডেসিমেল জমি ক্রয়/বিক্রয় করে। এ বাবদ ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেন তারা।
কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি বেশি দাম দেখিয়ে প্রথমে এ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয় তহবিল থেকে বিক্রেতাকে দেওয়া হয়। পরে বিক্রেতার নিকট থেকে ভিন্ন নামের লোকের মাধ্যমে চেকে এ টাকা ফেরত নেন তারা। ওই টাকা তুলে নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন। এফডিআর থেকে সেই টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন এই ছয় আসামি। পরবর্তীতে মানিলন্ডারিংয়ের অপরাধও সংঘটন করেন তারা।
১৯৪৭ সালের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় তারা এই অপরাধগুলো করেছেন।