স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ মে, ২০২২ ১১:০৫ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৯২ বার
স্কোরলাইনে শুধু গোলদাতার নাম লেখা থাকে। এটাই ফুটবলের বহু বছরের রীতি। তবে সদ্য শেষ হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের পর গোলকিপারদের নাম ওই বোর্ডে জ্বলজ্বল করলে ভুল লেখা হবে না। কারণ ইতিহাস গড়ে রিয়াল মাদ্রিদের এই ১৪তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের নেপথ্যে শুধু ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের অবদান আছে, এমনটা কিন্তু নয়। বরং অনেক বেশি অবদান রয়েছে ডাকাবুকো গোলকিপার থিবো কুর্তোয়ার। বেলজিয়াম জাতীয় দলের এই শেষ প্রহরী বারবার রুখে না দাঁড়ালে লিভারপুল এই মেগা ফাইনালে ২০১৮ সালে হারের বদলা নিতেই পারত।
১৪তম চ্যাম্পিয়নস লিগে স্তাদ দো ফ্রান্সের ফাইনালের দিকে চোখ রাখলে এক জোড়া গ্লাভস হাতে নিয়ে তেকাঠির নিচে দাঁড়িয়ে থাকা ৬ ফুট ৭ ইঞ্চির এই গোলকিপারের যুদ্ধের কথা মনে পড়বেই। শুধু গ্লাভস নয়, হাত-পা-বুক-মাথা...শরীরের প্রায় সব অংশ দিয়ে গোল রুখে দিলেন ঠেকাননি থিবো কুর্তোয়া। এই ম্যাচে মোট নয়টি সেভ করেন তিনি। এরমধ্যে মোহম্মদ সালাহর অবধারিত হ্যাটট্রিক ছিল। সেই গোলার মতো শটগুলো অনায়াসে সেভ করে গেলেন তিনি।
ভিনিসিয়ুস গোলটা করেছেন, তার আগে-পরে অবিশ্বাস্যভাবে একের পর এক গোল বাঁচিয়েছেন কোর্তোয়া। তাতেই রিয়ালের এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের অবিশ্বাস্য পথচলার শেষ শিরোপায়। প্যারিসে লিভারপুলকে ১-০ গোলে হারিয়ে ১৪তম চ্যাম্পিয়নস লিগ ঘরে তুলেছে রিয়াল।
২১তম মিনিটে সাদিও মানের দুর্দান্ত শট রুখে দেন রিয়াল গোলকিপার। এরমধ্যে বিরতির কিছুক্ষণ আগে অফসাইডের কারণে বাতিল হয় রিয়াল অধিনায়ক করিম বেনজেমার গোল।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেও বল দখলে এগিয়ে ছিল লিভারপুল। কিন্তু থিবো কর্তোয়া একের পর এক দুর্দান্ত সেভ করতে থাকেন। এ দিকে, ম্যাচের ৫৯ তম মিনিটে ফ্রেডারিকো ভালভার্দের পাসে গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে দেন ব্রাজিলীয় তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। এই গোলটিই ম্যাচের নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়ায়।
২০১৮ সালের ফাইনালের প্রতিশোধ নেয়া হলো না মোহাম্মদ সালাহদের। হার নিয়েই মাঠ ছাড়ল ‘অল রেড’। রিয়াল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার পর এ বার থেকে করিম বেনজেমার ব্যালন ডি'অর জয়ের দাবিটা আরো জোড়াল হলো।
সূত্র : জি নিউজ