ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ জুন, ২০২২ ২১:২৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৯১ বার
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে। এই বাজেট প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্যতা কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। বাজেটে দারিদ্র্য দূরীকরনে দরিদ্র শ্রেণীর ওপর অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত এই বাজেট প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, ব্যবসায়ি এবং স্বল্প আয়ের লোকসহ সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য সহায়ক হবে। আমরা এমন ভাবেই এই বাজেট প্রণয়ন করেছি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিগত তিন মেয়াদকালে তার দায়িত্বপালনকালে জনগণ প্রতারিত হয়নি। জনগনের কাছে দেয়া প্রতিশ্রুতি তিনি রক্ষা করেছেন তিনি আরও বলেন, আমরা প্রতিটি মানুষ এবং প্রত্যেক দরিদ্র মানুষের কথা বিচেনায় রেখে এই বাজেট প্রণয়ন করেছি।
অর্থমন্ত্রী আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থবিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সেলিম উল্লাহ, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী এবং ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন প্রমুখ।
এ ছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিবগণ এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন। এতে প্রবৃদ্ধি ধরা হয় ৭.৫ শতাংশ এবং গড় মূল্যস্ফীতি ৫.৬ শতাংশ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে সাধারণ মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা তুলে ধরে উন্নয়নমুখী চিন্তাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আগামী বাজেট কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাবে কারণ অনেক উত্থান-পতন হবে। আমরা সব বাধা অতিক্রম করে সফল হতে পারব, ইনশাআল্লাহ। আমরা দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।’
কামাল উল্লেখ করেন যে, কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাবে যখন সমগ্র বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত, তখন বাংলাদেশের কোনো ক্ষেত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এবং সামষ্টিক অর্থনীতির সব সূচক ভালো ছিল।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি মোকাবেলায় সরকারের সমন্বিত প্রচেষ্টা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন যে, সরকার চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে যাতে কোনও অমিল না ঘটে সে লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, যদিও সামগ্রিক বাজেটের আকার বিদায়ী অর্থবছরের তুলনায় জিডিপির শতাংশে হ্রাস পেয়েছে, সরকার সম্প্রসারণমূলক মুদ্রানীতি থেকে সংকোচনমূলক মুদ্রনীতিতে তার ফোকাস সরায়নি।
অর্থমন্ত্রী দাবি করেন, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যের দাম এখন কম হলেও আমদানি পণ্যের দাম নির্ভর করে বিশ্ববাজারের দামের ওঠানামার ওপর।
তিনি বলেন, ‘তবে, আমি আশা করি, বাজারে অস্থিতিশীলতা বেশি দিন থাকবে না। সরকারের অবশ্যই কিছু প্রচেষ্টা থাকবে এবং সরকার এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকার এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হবে না। আমরা ‘সবাইকে সাথে নিয়ে এটি মোকাবেলা করতে সক্ষম হব’।