ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৫ জুন, ২০২২ ১১:১৮ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৮৭ বার
দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে পাকিস্তানের জনগণকে চা পানের পরিমাণ কমাতে বলা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির ক্ষমতাসীন শেহবাজ সরকারের সিনিয়র মন্ত্রী আহসান ইকবাল বলেছেন, দিনে চায়ের কাপে চুমুকের পরিমাণ কমালে পাকিস্তানের উচ্চ আমদানি ব্যয় কমে যাবে।
বুধবার (১৫ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশটির হাতে বর্তমানে যে পরিমাণ রিজার্ভ আছে তাতে দুই মাসের কিছু কম সময় আমদানি কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তবে রিজার্ভের এই স্বল্পতা দেশটিকে অর্থ বা তহবিলের জরুরি প্রয়োজনে ফেলে দিয়েছে।
বিবিসি বলছে, পাকিস্তান বিশ্বের বৃহত্তম চা আমদানিকারক। অর্থাৎ বিশ্বের সবগুলো দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চা আমদানি করে থাকে পাকিস্তান। গত বছর দেশটি ৬০০ মিলিয়ন বা ৬০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থের সমপরিমাণ চা আমদানি করেছিল।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আহসান ইকবাল বলেছেন, ‘আমি জনগণের কাছে চা খাওয়ার পরিমাণ এক থেকে দুই কাপ কমানোর আবেদন করছি। কারণ ঋণের অর্থে আমরা এই চা আমদানি করি।’
এছাড়া বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্যও বাজারে ব্যবসায়ীদের দোকান রাত সাড়ে ৮টায় বন্ধ করা যেতে পারে বলে বলেও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বিবিসি বলছে, পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত পতনের ফলে উচ্চ আমদানি খরচ কমাতে এবং দেশে তহবিল রাখার জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। আর এই কারণেই মূলত চা খাওয়া কমানোর আবেদনটি সামনে আনা হয়েছে।
এদিকে চা পান কমানোর বিষয়ে এই অনুরোধ কার্যত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে। ক্যাফেইনযুক্ত এই পানীয় আমদানী বাদ দিয়ে দেশের চলমান গুরুতর আর্থিক সমস্যা সমাধান করা যাবে কি না সেটি নিয়েও অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করছেন।
মূলত পাকিস্তানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত কমছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির কোষাগারে বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ ছিল প্রায় ১৬০০ কোটি মার্কিন ডলার। তবে সেখান থেকে জুনের প্রথম সপ্তাহে রিজার্ভ নেমে এসেছে এক হাজার কোটি মার্কিন ডলারের নিচে।
হাতে থাকা এই পরিমাণ রিজার্ভ দিয়ে মোটামুটি দুই মাসের আমদানি ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব বলে জানাচ্ছে বিবিসি।
এর আগে গত মাসে করাচির কর্মকর্তারা তহবিল রক্ষার জন্য কয়েক ডজন অপ্রয়োজনীয় বিলাসবহুল পণ্য আমদানি সীমাবদ্ধ করেছিলেন। চলমান এই অর্থনৈতিক সংকট দেশটির ক্ষমতাসীন শেহবাজ শরীফের সরকারের জন্য একটি বড় পরীক্ষা বলেও জানিয়েছে ব্রিটিশ এই সংবাদমাধ্যমটি।