আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ৫ জুলাই, ২০২২ ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪১১ বার
উজবেকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৮ জন নিহত হয়েছেন।
কারাকালপাকস্তান প্রদেশে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও আড়াই শতাধিক আন্দোলনকারী। খবর রয়টার্সের।
সোমবার উজবেকিস্তান কর্তৃপক্ষ হতাহতের এ সংখ্যা জানিয়েছে। উজবেকিস্তানের সংবিধানের একটি অনুচ্ছেদে কারাকালপাকস্তান অঞ্চলটিকে স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়েছে।
অঞ্চলটিকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে ওই অনুচ্ছেদে। সম্প্রতি উজবেকিস্তান সরকার সংবিধানের এ অনুচ্ছেদটি বাতিলের পরিকল্পনা করে।
প্রাদেশিক রাজধানী নুকুসে এর বিরুদ্ধে গত শুক্রবার বিক্ষোভ শুরু করেন কারাকালপাকস্তানের মানুষ। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।
উজবেকিস্তানের ন্যাশনাল গার্ড এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছে, গত শুক্রবার বিক্ষোভ চলার সময় ৫১৬ জনকে আটক করেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। তবে তাদের অনেককে ইতিমধ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
কারাকল্পকস্তানে মূলত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বসবাস। সেখানে উজবেকের চেয়ে বেশি প্রচলিত কাজাখ ভাষা। সেখানকারই স্বশানের অধিকার খর্ব করতে চেয়েছিলেন দেশের প্রেসিডেন্ট যা ভাল চোখে দেখেননি স্থানীয় বাসিন্দারা।
গত শুক্রবার প্রশাসনিক রাজধানী নুকাসের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সরকারি ভবনে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। রাস্তায় জ্বালিয়ে দেওয়া হয় প্রচুর গাড়ি। ভেঙে ফেলা হয় ব্যারিকেড। পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। আহত অনেককে হাসপাতালে ভর্তি।
পরিস্থিতি বুঝে আপাতত সংবিধান সংশোধনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন প্রেসিডেন্ট। তবে আগামী এক মাসের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন তিনি।