ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

পুতিনের পরবর্তী টার্গেট কোনটি?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক


প্রকাশ: ৬ জুলাই, ২০২২ ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৮৬ বার


পুতিনের পরবর্তী টার্গেট কোনটি?

ইউক্রেনে আরো একবার ঠিক একই ঘটনা ঘটতে দেখা গেল। রাশিয়ার আরো একটি অগ্রাভিযান- এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীর আরো একটি পশ্চাদপসরণ। এবারের ঘটনাস্থল লিসিচানস্ক।

বিবিসির জো ইনউড লিখছেন, এখানে তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী লড়াই হবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তা হলো না।

লুহানস্কের গভর্নর সেরহি হাইদাই বললেন, একটি 'কৌশলগত সেনা প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে' সে লড়াই এড়ানো হয়েছে।

তার কথায়- কামানের সংখ্যা এবং গোলাবারুদের পরিমাণের দিক থেকে রাশিয়া বিরাট সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। অনেক দূর থেকেই তারা সবকিছু ধ্বংস করে দিতে পারত- কাজেই এখানে অবস্থান নিয়ে থাকার কোন মানে হয় না।

লিসিচানস্ক শহর দখল করার যে বর্ণনা রুশ পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে- তার সাথে হাইদাইয়ের কথা মিলে যায়। তাদের শহরে ঢুকতে কোনো বাধা মোকাবিলা করতে হয়নি। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছ - চেচেন যোদ্ধারা লিসিচানস্কের কেন্দ্রস্থলে নাচছে।

উল্লাস তো তারা করবেই। কারণ লিসিচানস্ক দখল করা মানে হচ্ছে লুহানস্ক অঞ্চলের প্রায় পুরোটাই রাশিয়ার দখলে চলে গেল।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ইউক্রেন অভিযান বা 'বিশেষ সামরিক অপারেশনের' এটা ছিল অন্যতম প্রধান কৌশলগত লক্ষ্য।

ডনবাস দখলের যুদ্ধ বা সার্বিকভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য এটা কী অর্থ বহন করে?

রাশিয়া চায় পুরো ডনবাস অঞ্চলকে 'মুক্ত' করতে
প্রথমে ব্যাপারটা দেখা যাক রাশিয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে। তাদের ঘোষিত লক্ষ্য হচ্ছে ডনবাস অঞ্চল দখল করা- তাদের ভাষায় 'মুক্ত করা।'

লিসিচানস্ক দখলের মধ্যে দিয়ে পুরো লুহানস্ক রুশ নিয়ন্ত্রণে আসার পর প্রেসিডেন্ট পুতিন তার কম্যান্ডারদের সর্বোচ্চ 'রাশিয়ার বীর' খেতাব দিয়েছেন- যা থেকেও এ বিজয়ের গুরুত্ব বোঝা যায়।


   আরও সংবাদ