ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

বুয়েটে ভর্তি হবেন কি না, জানালেন আবরারের ছোট ভাই

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১৩ জুলাই, ২০২২ ১৮:২৩ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৮২ বার


বুয়েটে ভর্তি হবেন কি না, জানালেন আবরারের ছোট ভাই

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) হলে হত্যার শিকার আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ বুয়েটে সুযোগ পাওয়ার পর ভর্তি হওয়া নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ছিলেন।গত ৩০ জুন বুয়েটের ফল প্রকাশের পর আবরার ফাইয়াজ বলেছিলেন, পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে বুয়েটে ভর্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ফাইয়াজ বুয়েটে ভর্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এ বিষয়ে বুধবার (১৩ জুলাই) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন ফাইয়াজ। তার ওই স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

‌‘পরিবারের সবার মতামতের ভিত্তিতে আমি বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেহেতু আপনারা অনেকেই নিজেদের মতামত জানিয়েছিলেন তাই এই ব্যাপারটা আপনাদের জানানো।

সত্যি বলতে, বাসার কেউই সরাসরি IUT or BUET এমন কিছু বলেনি। প্রায় সবাই বলেছে, যেখানে আমার ইচ্ছা সেখানেই ভর্তি হতে। তাই বলা যায়, আমার ইচ্ছা অনুসারেই এখানে ভর্তি হতে চাওয়া।

তবে IUT পরিবেশ আর প্রশাসন সবকিছুই খুবই ভালো লেগেছে আমাদের। বিশেষ করে IUT Authority খুবই হেল্পফুল পেয়েছি। বুয়েট আর IUT-তে সুযোগ পাওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে আর একবারও ভাবিনি। কারণ, সেখানে থাকা-খাওয়ার পরিবেশ খুবই নোংরা এবং রাজনীতি সবচেয়ে বেশি। আমার ভাইয়ার ইচ্ছা ছিল, এখানে নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বুয়েটে হয়ে যাওয়ায় এখানে পড়েনি।

একটা বিষয় আসলে পরিষ্কার করা দরকার, সবাই প্রথম থেকেই চিন্তিত ছিলেন বুয়েটে গেলে নিরাপত্তার ব্যাপারে। এটা আসলে আমি কখনোই ভাবিনি। আবার ভাইয়ার কথা মনে পড়েবে, মানসিকভাবে ভেঙে পড়ব, এ রকম কিছু নিয়েও চিন্তিত ছিলাম না। আমার ইচ্ছা আছে ভাইয়ার শেরেবাংলা হলেও সিট পেলে থাকব।

 

আপনারা অনেকেই আমাকে নিজের ছোট ভাই ভেবে অনেক পরামর্শ দিয়েছেন। অনেকেই অনেক কিছু বোঝানোর জন্য নিজেদের মূল্যবান সময় ব্যয় করেছেন। আমি সত্যিই আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আর কিছু মানুষের ধন্যবাদ একটু বেশিই প্রাপ্য। তারা হলেন আমার শিক্ষকরা। সত্যি বলতে, গত প্রায় ২ বছর ৯ মাসে আমি যেখানে একদিন হলেও পড়েছি, প্রত্যেকেই নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে আমাকে মানসিকভাবে সাপোর্ট দিয়ে গেছেন। আমি আসলে বেশি কিছু ক্ষেত্রে অবাক হয়ে গেছি। আমাদের প্রথমবার দেখা হয়েছে অথচ তাদের ব্যবহারে মনে হয়েছে যেন আমরা কত পরিচিত। আর পড়ালেখার বিষয়ে তাদের অবদান তো ছিলই। এমনকি সাবজেক্ট পছন্দের ক্ষেত্রেও তারা অনেক সাহায্য করেছেন। আল্লাহ তাদের প্রত্যেককেই ভালো, সুস্থ রাখুক এটাই চাই সব সময়। দোয়া করবেন যেন আল্লাহ আমাকে সঠিক পথ দেখান সব সময়।


   আরও সংবাদ