ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভস্থলে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান, আটক শতাধিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক


প্রকাশ: ২২ জুলাই, ২০২২ ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৫১ বার


শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভস্থলে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান, আটক শতাধিক

শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় মূল বিক্ষোভস্থলে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়েছে। যেসব তাঁবুতে বিক্ষোভকারীরা থাকতেন সেগুলো ভেঙে দেওয়া হয়েছে। দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে শপথ নেওয়ার পরপরই এ অভিযান চালায় দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অভিযানে শত শত সেনা ও পুলিশ সদস্য অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

অভিযানে বিবিসির এক সাংবাদিককে মারধর করা হয়েছে। এক সেনা সদস্য ওই সাংবাদিকের মোবাইল নিয়ে গেছেন এবং অভিযানের সময় তোলা ভিডিও মুছে দিয়েছেন।

শপথ নেওয়ার পর পরই রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছিলেন, সরকারকে ক্ষমতাচ্যূত করা কিংবা সরকারি কোনও ভবন দখল নেওয়া গণতান্ত্রিক কার্যক্রম নয়। এই ধরনের কোনও কিছু হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।

বিক্ষোভকারীরা জানান, শুক্রবার বিকেলের মধ্যে এলাকাটি খালি করার পরিকল্পনা ছিল তাদের।কিন্তু তার আগেই অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) দেশটির পার্লামেন্ট ভবনে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি জয়ন্ত জয়সুরিয়া।

বুধবার পার্লামেন্টে ভোটের পর রনিল বিক্রমাসিংহে ১৩৪ ভোট পেয়ে শ্রীলঙ্কার নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

এর আগে গত ১৪ জুলাই গোতাবায়া রাজাপাকসে সিঙ্গাপুরে পালিয়ে গিয়ে পদত্যাগপত্র পাঠালে পদটি শূন্য হয়।

রাজাপাকসে সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যাওয়ার পর গত সপ্তাহে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হন ছয়বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। সে সময় প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও অফিস দখল করে নেয় বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীরা বিক্রমাসিংহের ব্যক্তিগত বাড়িও পুড়িয়ে দেয় এবং তার অফিসে হামলা চালায়। কিন্তু তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ব্যর্থ হয়। তাই বিক্রমাসিংহে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ।

শ্রীলঙ্কায় এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন একটি বিরল ঘটনা। কারণ এতে পার্লামেন্টের স্পিকার নির্বাচন দেন। ১৯৭৮ সাল থেকে ইতিহাসে কখনোই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোট দেয়নি পার্লামেন্ট।

১৯৯৩ সালে প্রেসিডেন্ট রানাসিংহে প্রেমাদাসাকে হত্যা করা হলে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট পদটি মধ্য মেয়াদে শূন্য হয়। সে সময় পার্লামেন্টে প্রেমাদাসার মেয়াদের জন্য ডি বি উইজেতুঙ্গাকে সর্বসম্মতিক্রমে সমর্থন করা হয়েছিল।

নতুন প্রেসিডেন্ট ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত রাজাপাকসের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন। শ্রীলঙ্কার ২২ মিলিয়ন মানুষের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে আগামী ছয় মাসে প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।

সূত্র: এএফপি, বিবিসি


   আরও সংবাদ