ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৪ জুলাই, ২০২২ ১২:১১ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪২২ বার
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে বিশ্বের অর্থনীতি আক্রান্ত। জ্বালানি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম ব্যাপক বেড়েছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্য মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামীতে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে পারে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক সাপ্লিমেন্ট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এতে বাংলাদেশের গত ছয় মাসে মূল্যস্ফীতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারিতে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৯ শতাংশ, ফেব্রুয়ারিতে ৬ দশমিক ২ শতাংশ, মার্চে ৬ দশমিক ২ শতাংশ, এপ্রিলে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ, মে মাসে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ ও জুনে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি বছর ও ২০২৩ সালে বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতির চাপ বাড়বে।
এডিবি বলছে, বাংলাদেশ সরকারের প্রাক্কলন অনুসারে, সদ্যবিদায়ি অর্থবছরের ২০২১-২২ (৩০ জুন ২০২২ শেষ হয়েছে) মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ হয়েছে। এটি এডিবির ৬ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে গেছে। এ প্রবৃদ্ধি অর্জনে শিল্প খাতের ১০ দশমিক ৪ শতাংশ এবং পরিষেবা খাতের ৬ দশমিক ৩ শতাংশ অবদান ছিল। তবে কৃষি উৎপাদন কমেছে ২ দশমিক ২ শতাংশ। গত অর্থবছরে রপ্তানি ও আমদানি প্রত্যাশার চেয়ে শক্তিশালী ছিল, যা প্রবৃদ্ধি অর্জনে চালিকাশক্তি হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। অর্থনীতি দ্রুত পুনরুদ্ধারের প্রতিফলন ঘটেছে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনে। এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, বেসরকারি বিনিয়োগ ও বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশকে উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে অবশ্যই বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এছাড়া শুধু তৈরি পোশাক খাতের ওপর নির্ভরশীল না থেকে রপ্তানি বহুমুখী করতে হবে। এডিবি বলছে, কোভিড-১৯ ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটেও বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বাংলাদেশ আবার উচ্চ প্রবৃদ্ধির দিকে যাচ্ছে।
মান বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ প্রেক্ষাপটে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নতুন চ্যালেঞ্জ বলে মনে করে এডিবি। চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গড়ে ৬ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এডিবি। এই উচ্চ মূল্যস্ফীতি অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি করছে। মূলত জ্বালানি তেল ও নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। এছাড়া বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।