আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ জুলাই, ২০২২ ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৬০ বার
মাদ্রিদের বাংলাদেশি পরিচালিত সর্ববৃহৎ বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদের দলিল আনুষ্ঠানিকভাবে মাদ্রিদের বালেস্ক নোটারি পাবলিক অফিসে স্বাক্ষর হয়েছে।
বাংলাদেশি অধ্যুষিত লাভাপিয়েছ এলাকায প্রায় ৪৪০ বর্গমিটারের মসজিদটি এক মিলিয়ন ইউরো ব্যয়ে ২৭ জুলাই সকালে রেজিস্ট্রি করা হয়। এসময় দলিলে স্বাক্ষর করেন মসজিদ কমিটির পক্ষে সভাপতি খোরশেদ আলম মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক।
এসময় অন্যতম উদ্যোক্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন স্পেনের সভাপতি আল মামুন, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আল আমিন, বাইতুল মোকাররম জামে মসজিদের খতিব হাসান বিন আব্দুল্লাহ, মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল খালেক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, ঢাকা জেলা এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম মাসুদ, ভালিয়ান্তে বাংলার সভাপতি ফজলে এলাহী, কমিউনিটি নেতা মোহাম্মদ ইব্রাহিম, সাইফুল ইসলাম ও সাংবাদিক বকুল খান।
২০০৬ সালে বাইতুল মোকারম মসজিদ বর্তমান calle provisiones থেকে যাত্রা শুরু করে। দীর্ঘ ১৬ বছর পর কর্ডোভার মুসলিম সভ্যতার স্মৃতিবিজড়িত স্পেনে স্থায়ী ভবন ক্রয়ের মধ্যে দিয়ে বহু দিনের একটি স্বপ্নের মসজিদ কাম ইসলামী কমপ্লেক্স নির্মাণের আলোর পথে এক ধাপ এগিয়ে গেলো।
প্রবাসী বাংলাদেশি অধ্যুষিত লাভাপিয়েছ এলাকায় এই মসজিদ স্থায়ীকরণের মধ্য দিয়ে ইসলামী সংস্কৃতি, ইসলামী শিক্ষার প্রসার, প্রচার এবং নতুন প্রজন্মকে দ্বিনের আলোয় আলোকিত করতে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে বলে আশা করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
মসজিদ কমিটির বর্তমান সভাপতি স্থায়ী ভবন۔ ক্রয়ের অন্যতম উদ্যোক্তা খোরশেদ আলম মজুমদার আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া, তার কৃপায় আমরা যে জায়গায় দীর্ঘদিন নামাজ পড়েছি সেখানে আমরা স্থায়ী মসজিদ করতে পেরেছি। যেই দেশে একদিন ৭০০ বছর শাসন করে ইসলামের সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, এখানেই আজ আমরা নতুনভাবে মসজিদের স্থায়ী ভবন۔ ক্রয় করতে পেরেছি, এটা অনেক বড় নিয়ামত। এর প্রতিদান মাদ্রিদের প্রত্যেক মুসলমান ভাই বোন পাবেন ইংশাআল্লাহ।
মাদ্রিদের বালেস্ক ২৮۔ তিন নোটারি অফিসের দলিলপত্র পড়ে শুনান নোটারি পাবলিকের পক্ষে আলবারো ফার্নান্দেজ পিযেররা।
পরে বাইতুল মামুর জামে মসজিদের ভবনের মালিক সের্খিও বারবারা ক্যাসিও আনুষ্ঠানিকভাবে ভবনের রেজিস্ট্রিকৃত দলিল ও চাবি হস্তান্তর করেন মসজিদ কমিটির সভাপতি খোরশেদ আলমের কাছে।
বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের সভাপতি আল মামুন প্রতিক্রিয়ায় বলেন, দীর্ঘ ত্রিশ বছরের লালিত স্বপ্ন মসজিদের জন্য একটি স্থায়ী ভবন ক্রয়। ইনশাল্লাহ সকলের সহযোগিতায় করতে পেরেছি- এজন্য আমরা খুবই আনন্দিত।
এসোসিয়েশনের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আল আমিন মিয়া জানান, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্থায়ীকরণের মধ্য দিয়ে ভিন দেশে ইসলামী সংস্কৃতি প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করি। মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি জামাল উদ্দিন মনির ক্ষুদে বার্তায় জানান, প্রবাসে শুধু নিজেকে সফল এবং স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি ইহকাল এবং পরকালের জন্য সম্পৃক্ত রাখতে মসজিদের স্থায়ী ভবন ক্রয় যুগান্তকারী উদ্যোগ হয়ে থাকবে।