ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৪ অগাস্ট, ২০২২ ০৯:২০ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৪২ বার
দেশের অর্থনীতিতে টাকার প্রবাহ বাড়ানোর হার কমে গেছে। গত চার অর্থবছরের মধ্যে গত অর্থবছরেই টাকার প্রবাহ সবচেয়ে বেশি কমেছে।
টাকার প্রবাহ কমায় বিশেষ করে ক্ষুদ্র পুঁজির উদ্যোক্তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। করোনার পর আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বাড়ায় পণ্যের দাম এক দফা বেড়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে আরও এক দফা বেড়েছে। এতে বেড়ে গেছে আমদানি ব্যয়। বাড়তি আমদানি ব্যয়ের কারণে ডলারের দাম বাড়ছে হুহু করে।
চড়া দামেও এখন ডলার মিলছে না। ফলে অনেক পণ্যের আমদানির এলসি খোলা যাচ্ছে না। ডলার সাশ্রয়ে লোডশেডিংয়ের কারণে উৎপাদনে কমে যাচ্ছে।
এতে শিল্পের ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি চলতি অর্থবছরজুড়ে বিরাজ করবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এদিকে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার চলতি বছরেও কমবে বলে আইএমএফ আভাস দিয়েছে। এসব কারণে উদ্যোক্তারাও অনেকে হাত গুটিয়ে বসে আছেন। শুধু আগের প্রতিষ্ঠানগুলোকেই সচল রাখছেন। এসব দেশীয় ও বৈশ্বিক অস্থিরতার কারণে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছে।
সূত্র জানায়, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়াতে হলে টাকার প্রবাহ বাড়াতে হয়। এতে উদ্যোক্তাদের হাতে টাকা গেলে তারা শিল্প স্থাপন করে। মানুষের কর্মসংস্থান বাড়ে। বৃদ্ধি পায় উৎপাদন। এসব পণ্যের স্থানান্তরের কাজে আরও মানুষের সম্পৃক্ততা বাড়ে। যা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বাড়িয়ে দেয়। একই সঙ্গে মানুষের হাতে টাকা গেলে তাদের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ে। কিন্তু করোনার সময় থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারে টাকার প্রবাহ বাড়ানোর নীতি গ্রহণ করে। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। গত অর্থবছরেও টাকার প্রবাহ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বাড়েনি। উলটো গত চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বেড়েছে। গত অর্থবছরে টাকার প্রবাহ বেড়েছে ৯ দশমকি ৪৩ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫ শতাংশ বাড়ানোর। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সাড়ে ৬ শতাংশ কম বেড়েছে। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে টাকার প্রবাহ বেড়েছিল ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বেড়েছিল ১২ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বেড়েছিল ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বেড়েছিল ৯ দশমকি ২৪ শতাংশ। করোনার পর আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে আমদানি ব্যয় বেড়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম আরও এক দফা বেড়ে যায়। এতে দেশে আমদানির নামে মূল্যস্ফীতি আসছে। ফলে দেশের ভেতরেও পণ্যের দাম বেড়ে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে যায়। এ হার নিয়ন্ত্রণ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি অর্থবছরের জন্য সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি ঘোষণা করে। ফলে চলতি অর্থবছরে টাকার প্রবাহ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ শতাংশ। যা গত অর্থবছরের চেয়ে ৩ শতাংশ কম। টাকার প্রবাহ কমানোর নীতির কারণে চলতি বছরেও ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আগের চেয়ে কিছুটা সংকুচিত হবে।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা শুরুর আগেই দেশের বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। গত বছরের আগস্ট থেকেই ডলার সংকট শুরু হয়। ওই সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ওই সময়ে পদক্ষেপ নিলে পরিস্থিতির এত অবনতি হতো না। নভেম্বর থেকে রেমিট্যান্স কমতে শুরু করে। হুন্ডির বিরুদ্ধে ওই সময়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এখনো খুব কম পদক্ষেপ নিচ্ছে। একদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা, অন্যদিকে দেশীয় বাজারে অস্থিরতা। এই দুইয়ে মিলে উদ্যোক্তারা এখন হাত গুটিয়ে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ ডলার পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে সেটি এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না। রেমিট্যান্স বাড়লেও সামনে রপ্তানি আয় কমার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। রপ্তানি আয় কমলে ডলার পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। এতে আমদানি করতে না পারলে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আমদানিনির্ভর। আমদানিকে কেন্দ্র করে অর্থনীতির বড় একটি চক্র আবর্তিত হয়। আমদানি করা না গেলে ওইসব কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হবে। যদিও ডলার সাশ্রয় করতে এখন আমদানি নিয়ন্ত্রণ জরুরি। এটি সাময়িক হতে হবে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি হলে অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, গত বছরের আগস্ট থেকে আমদানি ব্যয় লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকে। ওই এক মাসেই আমদানি ব্যয় বেড়েছিল ৬৪ শতাংশ। গত অর্থবছরে বেড়েছে ৪৬ দশমিক ১৫ শতাংশ। এলসি খোলা বেড়েছে ৩৮ শতাংশ। আগের ২০২০-২১ অর্থবছরে আমদানি ব্যয় বেড়েছিল ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে আমদানি ব্যয় বেড়েছে ৩৯ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয়েছে শিল্পের কাঁচামাল। এ খাতে ৩ হাজার কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে। যা গত অর্থবছরের তুলনায় ৪৭ শতাংশ বেশি। জ্বালানি তেল আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৯২৪ কোটি ডলার। যা গত অর্থবছরের চেয়ে ১১৬ শতাংশ বেশি। শিল্পের মধ্যবর্তী কাঁচামাল আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৭১৯ কোটি ডলার। যা গত অর্থবছরের চেয়ে ৩৫ শতাংশ বেশি। শিল্পের যন্ত্রপাতি আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৫২৭ কোটি ডলার। যা গত অর্থবছরের চেয়ে ৪১ শতাংশ বেশি। ভোগ্যপণ্য আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৮৬৮ কোটি ডলার। যা গত অর্থবছরের চেয়ে ২৮ শতাংশ বেশি।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বাড়ায় এখন বেশি দামে কম পণ্য আমদানি করতে হচ্ছে। আমদানি ব্যয় বাড়লেও পণ্য আসছে কম। সেজন্য উৎপাদনও কম হবে। কাঁচামালের দাম বাড়লেও রপ্তানি পণ্যের দাম খুব একটা বাড়েনি। ফলে রপ্তানিকারকরা এখন টিকে থাকার সংগ্রামে আছে। এর মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোতে মন্দা দেখা দিয়েছে। তারাও সুদের হার বাড়িয়ে আমদানিকে ব্যয় সাপেক্ষ করে ফেলছে। এছাড়া ইউরোর দাম কমায় আমদানি পণ্যের দামও বেড়েছে। এতে ওইসব দেশ থেকে রপ্তানির আদেশ কম আসতে শুরু করেছে। আগামীতে এর প্রভাব পড়বে রপ্তানিতে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, গত অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ ঋণ প্রবাহ বেড়েছে ১৬ দশমিক ১০ শতাংশ। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ শতাংশ কম। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ। অভ্যন্তরীণ ঋণ প্রবাহ বাড়লেও তা চলে গেছে মূল্যস্ফীতির পেটে। বাড়তি মূল্যস্ফীতির কারণে টাকার ক্ষয় হয়েছে। এতে ঋণ বাড়লেও মূল্যস্ফীতি হাব দিলে প্রবৃদ্ধি আরও নেতিবাচক পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। গত জুনে মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। গত বছরের এই সময়ে এ হার ছিল সাড়ে ৫ শতাংশে।
সরকারি খাতেও গত অর্থবছরে ঋণ প্রবাহ বেড়েছে ২৮ দশমিক ১৮ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরে বেড়েছিল ২২ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বেড়েছিল ৬০ শতাংশ। একই সঙ্গে তুলনামূলকভাবে মূল্যস্ফীতির হার বাদ দিলে এ খাতে ঋণ প্রবাহ কমেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারি খাতের বৈদেশিক সহায়তানির্ভর ও ডলার প্রয়োজন হবে এমন সব উন্নয়ন প্রকল্প স্থগিত করা হয়েছে। এতেও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি কমবে।
বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ গত অর্থবছরে বেড়েছে ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরে বেড়েছিল ৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এর আগে এই হার ১৭ শতাংশ বেড়েছিল। বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বাড়লেও মূল্যস্ফীতির হার বাদ দিলে এ খাতে প্রবৃদ্ধি আরও কম হয়। এছাড়া এ খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি বাড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে সুদ। দুই বছর ধরে ঋণের বিপরীতে কিস্তি ও সুদ আদায় হচ্ছে না। ঋণ নিয়মিত থাকলেই ওই সুদ তারা ঋণের সঙ্গে যোগ করে ঋণের অঙ্ক বাড়িয়েছে। ফলে এ খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি বেশি হয়েছে। চলতি অর্থবছরে এ খাতে প্রবৃদ্ধির হার কমানো হয়েছে।
দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় ডলারের সংকট আকার ধারণ করেছে। গত বছরের জুলাইয়ে ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার ছিল ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ টাকা ৭৫ পয়সা। ওই সময়ে টাকার মান কমেছে ৯ টাকা ৮৫ পয়সা। টাকার মান আরও কমবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ডলার সংকটের কারণে এখন অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া অন্য কোনো পণ্যের এলসি খোলা যাচ্ছে না। এতে আমদানিনির্ভর ভোগ্য ও বিলাসী পণ্যের ব্যবসায় ধস নেমেছে।
ডলারের দাম বাড়ার কারণে এখন অনেকেই শিল্প স্থাপনের জন্য উদ্যোগ নিতে পারছেন না। কেননা চড়া দামে ডলার কিনে আমদানি করলে শিল্প স্থাপনের খরচ অনেক বেড়ে যাবে। এ কারণে উদ্যোক্তারা এখন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে শিল্প খাতে মেয়াদি ঋণ বিতরণ করা হয়েছিল ৭৪ হাজার কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে বিতরণ হয়েছে ৬৯ হাজার কোটি টাকা। গত অর্থবছরে বিতরণ সামান্য বেড়েছে। তবে সুদ আরোপ করার কারণেই ঋণ বেড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ব্যাংকে আমানত কমেছে, ব্যাংক থেকে গ্রাহকদের টাকা তুলে নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। তারপরও ব্যাংকে অলস টাকা বাড়ছে। ব্যাংকগুলো যে আমানত সংগ্রহ করে তার বিপরীতে একটি অংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রাখতে হয়। এ খাতে ব্যাংকগুলোতে তারল্য রাখার দরকার ২ লাখ ৩৯ হাজার কোটি টাকা। রাখা আছে ৪ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ২ লাখ কোটি টাকার বেশি অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে। বিনিয়োগে মন্দার কারণেই ব্যাংকে অতিরিক্ত তারল্য পড়ে রয়েছে। অথচ এসব অর্থ ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ করার কথা।
গত অর্থবছরে ব্যাংকি আমানত কমেছে ২৯ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরে বেড়েছিল ৪৬ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নগদ মুদ্রা ইস্যু বেড়েছে ৫৬ শতাংশ। গত অর্থবছরে কমেছিল ৫০ শতাংশ। ব্যাংক থেকে গ্রাহকদের নগদ টাকা তুলে নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে ৫৫ শতাংশ। গত অর্থবছরে কমেছিল ৫৪ শতাংশ। এর মানে হচ্ছে, ব্যাংকে মানুষ এখন টাকা রাখছেন কম। যে কারণে আমানত কমছে। একই সঙ্গে নগদ টাকা তুলে নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এসব অর্থ কোথায় যাচ্ছে তা দেখার দরকার বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
ব্যাংকাররা জানান, ব্যাংকে টাকা থাকলে তা বিনিয়োগ হলে অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। এখন ব্যাংকে টাকা থাকলেও তা বিনিয়োগ হচ্ছে না। যে কারণে অলস টাকা বাড়ছে। আবার গ্রাহকরা ব্যাংকে টাকা না রাখলে একদিকে ব্যাংক তারল্য সংকটে পড়বে। অন্যদিকে বেশি অর্থ অর্থনীতির চাকায় ঘুরবে না।
গত অর্থবছরে দেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে ২১৮ কোটি ডলার। আগের বছরে এসেছিল ১৩৪ কোটি ডলার। বৈদেশিক বিনিয়োগের বড় অংশই বেড়েছে দেশেই এক কোম্পানি থেকে অন্য কোম্পানির ঋণ ও অর্জিত মুনাফা পুনরায় বিনিয়োগ। এছাড়া কিছু কোম্পানি বিদেশ থেকে আমদানি বাবদ বায়ার্স ও সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিটের মাধ্যমে ঋণ নিয়েছে। তবে নিট এফডিআই বিদেশ থেকে খুব কমই এসেছে।