ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

খেরসনকে বিচ্ছিন্ন করল ইউক্রেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক


প্রকাশ: ৯ অগাস্ট, ২০২২ ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ২৯২ বার


খেরসনকে বিচ্ছিন্ন করল ইউক্রেন

পূর্ব ইউক্রেনের খেরসন অঞ্চল যুদ্ধের একেবারে গোড়াতেই দখল করে নিয়েছিল রাশিয়া। এই অঞ্চলে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ থাকেন। ইউক্রেন এই অঞ্চলটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় এবং নিজেদের অঞ্চল বলে মনে করে। দীর্ঘ যুদ্ধের পর সেই খেরসনে কৌশলগত সুবিধা পাওয়ার রাস্তা তৈরি করল ইউক্রেন। অন্তত, ইউক্রেনের সেনার দাবি তেমনই।

ইউক্রেন জানিয়েছে, রাশিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে খেরসন প্রবেশের অন্যতম রাস্তা নিপ্রো নদী। ওই নদীর উপর গুরুত্বপূর্ণ একটি সেতু ছিল। এতদিন সেই সেতুর ব্যবহার করেই খেরসনে সেনা এবং রসদ পাঠিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেন কয়েকদিন আগে দাবি করেছিল, সেতুর সেই রাস্তা তারা বন্ধ করে দিতে পেরেছে। সেতুটি নষ্ট করে দেওয়া গেছে। সোমবার তারা জানিয়েছে, রাতভর ওই সেতুতে শেলিং করে সেটি সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ওই সেতু পার করে রাশিয়া খেরসনে নতুন করে সেনা বা রসদ পাঠাতে পারবে না। খেরসনে অবস্থিত রাশিয়ার সেনাও বাইরে যেতে পারবে না। তারা কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।

রাশিয়ার মদতপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধারাও একথা স্বীকার করেছে। তবে তারা জানিয়েছে, ইউক্রেনের আক্রমণে সেতুটি বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে, একথা তারা স্বীকার করেনি। বরং তাদের বক্তব্য, রাশিয়া ইতিমধ্যেই সেতুটি সংস্কারের কাজ শুরু করেছে। নৌকার মাধ্যমেও তারা জিনিসপত্র আদানপ্রদান করতে পারবে বলে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা জানিয়েছেন। যদিও ইউক্রেন সেই কথায় আমল দেয়নি। তাদের বক্তব্য, এবার খেরসনে পুনর্দখলের কাজ শুরু হবে।

কার্পেথিয়ান জিশ নামে এই ব্যাটেলিয়নের ফিল্ড কমান্ডার ডজভিন বলেন, ‘‘যাদের মন শক্ত, এখন তারাই যুদ্ধ করতে পারবেন৷ কঠিন এবং ভীতিকর এই যুদ্ধা’’ যুদ্ধক্ষেত্রে তার নাম ডজভিন অর্থাৎ এটি হলো ‘নম দে গেররে’৷ নিরাপত্তার কারণে নিজের আসল নাম গোপন রেখেছেন তিনি৷ তার মতো সব যোদ্ধাই জানেন কখনো না কখনো বিধ্বংসী সামরিক ট্যাঙ্কের মুখোমুখি হতে পারেন তারা৷ সম্প্রতি প্রায় অক্ষত ট্যাঙ্ক ‘পাকড়াও’ করা হয়েছে৷

সৌজন্যে : ডয়চে ভেলে


   আরও সংবাদ