ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ অগাস্ট, ২০২২ ১৫:৪৫ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৪৯ বার
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ কমে যাওয়া ঠেকানোর পাশাপাশি ডলারের সংকট সামাল দিতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ডলারের বিকল্প মুদ্রায় লেনদেনের কথা ভাবছে সরকার। বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর।
তিনি বলেন, এতে বছরে ১০ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয়ের সম্ভাবনা আছে।
তবে ভিন্ন মত, গবেষণা সংস্থা রেপিডের নির্বাহী পরিচালক আবু ইউসুফের। তিনি বলেন, এটি করা হলে ডলার মজুদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় কমে গেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ। হু হু করে বাড়ছে ডলারের দাম। সংকট সামাল দিতে কঠিন শর্তে ঋণ নিতে হচ্ছে আইএমএফ থেকে।
এমন বাস্তবতায় ডলারের ওপর চাপ কমাতে ভারত, চীন ও রাশিয়ার মতো বিকল্প মুদ্রায় লেনদেনের বিষয়ে ভাবছে সরকার। সম্ভাবনা যাচাই করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গবেষণা সংস্থা পিআরআই নির্বাহী পরিচালক জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর মতে, এতে বছরে ১০ বিলিয়েন ডলারের বেশি সাশ্রয়ের সম্ভাবনা আছে।
তিনি বলেন, ভারতও করেছে জাপানের সঙ্গে, দক্ষিণ কোরিয়া করেছে অনেক দেশের সঙ্গে। চীন করেছে বহু দেশ ও আসিয়ানের সঙ্গে। আমরাও কিন্তু এটা করে দেখতে পারি। তাহলে রিজার্ভ হয়তো ১০ থেকে ১২ বিলিয়ন বাড়িয়ে ফেলতে পারি।
তবে ভিন্ন মত আরেক গবেষণা সংস্থা র্যাপিডের নির্বাহী পরিচালকের।
র্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক ড. আবু ইউসুফ বলেন, ডলার আয় না করে আমরা যদি অন্য মুদ্রায় লেনদেন করি, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই ডলারের মজুদে ঋণাত্মক প্রভাব পড়বে। আমি মনে করি, আমাদের বিকল্প চিন্তা করার সময় আসেনি। সেটি নিয়ে প্রচুর গবেষণার বিষয় আছে।
রিজার্ভ ও ডলার সংকট নিরসনে আমদানির বিপরীতে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে জোর দেওয়ার পরামর্শ এই দুই অর্থনীতিবিদেরই।
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমদানি কমাতে হবে, টাকা পাচার কমাতে হবে। আমাদের বিদেশ ভ্রমণ ইত্যাদি কমাতে হবে। বিদেশে চিকিতসার জন্য ব্যয়ও কমাতে হবে।
এদিকে, ডলার কারসাজির অভিযোগে দেশি-বিদেশি ৬ ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইতিবাচক উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা।
ড. আবু ইউসুফ বলেন, অর্থনীতি খাতকে বাংলাদেশ ব্যাংক কিন্তু একটা নজরদারির রাখছে-এমন ইঙ্গিত দেওয়ার প্রয়োজন আছে।