ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

প্রতি ডলারে ব্যাংকের মুনাফা হবে সর্বোচ্চ এক টাকা

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১৬ অগাস্ট, ২০২২ ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৩২ বার


প্রতি ডলারে ব্যাংকের মুনাফা হবে সর্বোচ্চ এক টাকা

ব্যাংকের ডলার কেনা ও বেচার মধ্যে সর্বোচ্চ এক টাকা মুনাফা করবে ব্যাংকগুলো। ডলার বাজারে অস্থিরতা কাটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এমন নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শিগগিরই ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকের সংগঠন বাফেদা এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সব ডেপুটি গভর্নরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেন, বাফেদার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের এমডি আতাউর রহমান প্রধানসহ বিভিন্ন ব্যাংকের এমডিরা অংশ নেন।

বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে ডলার বাজারে একটা টানাপোড়েন চলছে। এ থেকে কীভাবে উত্তোরণ করা যায়, সে বিষয়ে বাফেদা ও এবিবির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। ব্যাংকাররাও মনে করেন আমদানি যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, তাতে খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল হয়ে আসবে।
তিনি জানান, রপ্তানির অর্থ দ্রুত দেশে আনা এবং আন্তঃব্যাংক লেনদেন কার্যকর করতে বলা হয়েছে। রপ্তানিকারককে কম দর দিয়ে আমদানিকারকের থেকে বেশি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে একটা সমতার মাধ্যমে দর নির্ধারিত করে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অবহিত করতে বলা হয়েছে। ডলারের একরকম দর দেখিয়ে আরেক দামে বেচাকেনার কোনো তথ্য পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

জানা গেছে, ব্যাংকগুলো বসে ডলার বেচাকেনার মধ্যে সর্বোচ্চ পার্থক্য নিয়ে চলতি সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাবে। প্রয়োজনে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে পুনরায় বৈঠক হবে। নিজেদের নির্ধারিত দরের সঙ্গে কোনো হেরফের হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে ডলারের বাজারে অস্থিশীলতা শুরুর পর গত ২৬ মে এববিবি ও বাফেদার সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈঠক করে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়। বিশেষ করে বাফেদা ঘোষিত দরে সব ব্যাংকে ডলার বেচাকেনা ও সর্বোচ্চ ১ টাকা মুনাফার সিদ্ধান্ত তখনও নেওয়া হয়। যদিও ব্যাংকগুলো ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেনি।


   আরও সংবাদ